‘সাংবাদিক নির্যাতনে বিশ্ব মিডিয়ায় বাংলাদেশের ইমেজ প্রশ্নবিদ্ধ’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৫ পিএম, ১৮ মে ২০২১

পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের ওপর নির্যাতন ও তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় বিশ্বের মিডিয়ার কাছে বাংলাদেশের ইমেজ প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপ-প্রেস সচিব ও সাংবাদিক আশরাফুল আলম খোকন।

সাংবাদিকতায় উচ্চতর ডিগ্রি নিতে বিদেশে অবস্থান করা খোকন মঙ্গলবার (১৮ মে) ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘এ ঘটনা সারা বিশ্বের মিডিয়ার কাছে বাংলাদেশের ইমেজ প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আজ ক্লাসে আমার কোর্স টিচারও এ ঘটনা আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন। ক্লাসের সবাই যেহেতু বিভিন্ন দেশে সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত, তাদেরও আমার অনেকভাবে ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে। ব্যাখ্যা যাই দেই না কেন, লজ্জিত হয়েছি।’

তিনি বলেন, বিশ্বের সব দেশের অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা অনেকভাবেই তথ্য সংগ্রহ করেন। মানলাম রোজিনা ইসলাম চুরি করে মোবাইল দিয়ে ফাইল থেকে ছবি নিয়েছেন কিংবা কাগজ নিয়েছেন। নিশ্চয় তিনি চুরি করে রুমে প্রবেশ করেননি। অনুমতি নিয়েই প্রবেশ করেছেন। যিনি প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন, তিনি তো জানতেনই রোজিনা ইসলাম একজন ঝানু সাংবাদিক। তারও সতর্ক থাকা দরকার ছিল।’

খোকন মনে করেন, ‘পুরো ঘটনাচক্র দেখে মনে হয়েছে বিষয়টির প্রতিকার অন্যভাবেও করা যেত। এতে সরকার লজ্জিত না হয়ে সাংবাদিকরা লজ্জিত হতেন। রোজিনা ইসলাম হিরো না হয়ে জিরো হয়ে যেত। যখন রোজিনা ইসলামকে ধরেই ফেললেন, তখন সুশিক্ষিত একটি পেশার লোকজনের এ রকম উদ্ভট আচরণ করা ঠিক হয়নি। ভিডিও দেখে তাই মনে হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তাদের উচিত ছিল রোজিনা ইসলামকে বসিয়ে রেখে তার অফিস এবং সাংবাদিক নেতাদের খবর দেয়া। রোজিনা ইসলামের অন্যায় (!) তাদের বিস্তারিত জানানো। বিচারের দায়িত্ব তাদের দিয়ে রোজিনার অফিসের জিম্মায় লিখিত নিয়ে তাকে দিয়ে দেয়া। এরপর অফিস উনার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কি ব্যবস্থা নেন, সেটার জন্য অপেক্ষা করা। যদি রোজিনার প্রতি ব্যক্তিগত আক্রোশও থাকে তাহলে প্রেস রিলিজ দিয়ে পুরো বিষয়টি মিডিয়াকেও জানিয়ে দেয়া যেত। এক কাজে অনেক কাজ হয়ে যেত। সাংবাদিকবান্ধব সরকারকে বিব্রত হতে হতো না, উল্টো সাংবাদিকরা বিব্রত থাকতেন। আজকে যেসব সাংবাদিক সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন, তারাই রোজিনাকে ছি ছি করতেন। আইনগত বিষয়ে যাওয়ার বিষয়ে এরপরও সিদ্ধান্ত নেয়া যেত।’

এসইউজে/এএএইচ/এমকেএইচ

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।