ভারত ‘খোঁড়া যুক্তি’ দেখিয়ে পানি আটকে রেখেছে : সাকি
প্রতিবেশী দেশ ভারত খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে পানি আটকে রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
রোববার (১৬ মে) দুপুরে ফারাক্কা দিবস (মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ফারাক্কা অভিমুখে লংমার্চ) উপলক্ষে ভার্চুয়াল নাগরিক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাকি বলেন, ২০১৪ সালে আমরা তিস্তা অভিমুখে রোডমার্চ করেছিলাম। এর আগেও হয়েছিল। কাজেই এই আন্দোল অব্যাহত আছে। টিপাইমুখ বাঁধের সময়ও আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোল করেছি। এই আন্দোলনগুলো বাংলাদেশে আছে।
তিনি আরও বলেন, নদীতে বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেয়ার এই পরিকল্পনা ব্রিটিশ আমল থেকেই ছিল। তখনও বাঙালি প্রকৌশলীরা বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু সাতচল্লিশের পর তারাই আবার এটাকে রাজনৈতিক কারণে সমর্থন দিয়েছে। স্বাভাবিক প্রবাহ নদী রক্ষার জন্য যেমন প্রয়োজন, নদীর অববাহিকায় বসবাসকারী মানুষের জন্যও প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ভারত খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে আমাদের পানি আটকে রেখেছে। কাজেই এর সমাধান তাদেরকেই করতে হবে। বাংলাদেশের এখানে কিছুর করার নেই। নদীর পানি পাওয়ার অধিকার আমাদের প্রাকৃতিক অধিকার। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে আমরা পাচ্ছি না। রাজনৈতিকভাবেই এটাকে মোকাবিলা করতে হবে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ভার্চুয়াল নাগরিক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর পরিচালনায় ভার্চুয়াল নাগরিক আলোচনা সভায় দেশ-বিদেশ থেকে বক্তব্য রাখেন অনুসারী পরিষদের নির্বাহী চেয়ারম্যান, পরিবেশবিদ ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন আহমেদ (কানাডা), জাতিসংঘের সাবেক পানি বিশেষজ্ঞ ড. এস আই খান, জাতিসংঘের (স্কাপ) সাবেক অর্থনৈতিক পরিচালক ও অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন ও সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী ইমাম (নিউয়র্ক), মশিউর রহমান জাদুর কন্যা রিটা রহমান (নিউয়র্ক), নিউনেশন পত্রিকার সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্রচিন্তার অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, পানি বিশেষজ্ঞ ম ইনামুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমুখ।
কেএইচ/এমএসএইচ/এমএস