অষ্টম শ্রেণি চালু করায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সঙ্কট


প্রকাশিত: ০২:৫৬ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৫

অষ্টম শ্রেণি চালু হওয়া জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। শিক্ষানীতির আলোকে প্রাথমিক শিক্ষা স্তর হবে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। সেই আলোকে দেশের ৬২৭টি স্কুলের মধ্যে ঝালকাঠি জেলার চারটি স্কুল অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা হয়েছে।

জানা গেছে, এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামোসহ নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের জন্য নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়নি। তাই পঞ্চম শ্রেণি শেষে অভিভাবকরা সন্তানদের নিকটবর্তী মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি করাচ্ছেন। এসব কারণে স্কুলগুলো শিক্ষার্থী সঙ্কটে পড়েছে।  

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। ২০১০ সালে প্রণীত শিক্ষানীতির নির্দেশনা অনুসারে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হবে প্রাথমিক শিক্ষা। এ আলোকে প্রাথমিক স্কুলগুলোকে পর্যায়ক্রমে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। সারা দেশের ৬২৭টি স্কুলের মধ্যে  জেলার চারটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি চালু করা হয়। সেখানে নতুন করে কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়নি। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের জন্য নিয়োগকৃত শিক্ষকরাই পাঠদান করাচ্ছেন।

এছাড়া নতুন শ্রেণি খুললেও শ্রেণিকক্ষ ও অবকাঠামোগত নানা সমস্যা রয়েছে। ঝালকাঠি সদর উপজেলার দেউরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নলছিটির খাওক্ষির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজাপুরের পশ্চিম পুটিয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কাঠালিয়ার ছোনাউডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক নেতা জাগো নিউজকে জানান, প্রাথমিক স্কুলে তীব্র শিক্ষক সঙ্কট রয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে শ্রেণি চালু করায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে অবকাঠামো উন্নয়ন ও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাদানে যোগ্য শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
 
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র হালদার জাগো নিউজকে বলেন, জেলার চারটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার স্তর বাড়ানো হলেও অবকাঠামো এবং জনবল বাড়েনি। এজন্য সেই আগের অবকাঠামোর মধ্যেই অন্য বিদ্যালয়ের বিএড করা শিক্ষকদের সংযুক্তির মাধ্যমে ক্লাস করানো হয়। কিন্তু সেই শিক্ষকদের কোনো ধরনের বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দিতে না পারায় তারাও অতিরিক্ত কষ্ট করতে রাজি হচ্ছেন না। দাফতরিক চাপ প্রয়োগ করলে তারা মন্ত্রী মহোদয়ের দ্বারস্থ হচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, এছাড়াও যে সকল শিক্ষার্থী ওই প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাশ করে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হচ্ছে তাদেরকে উপবৃত্তি প্রদান করতে না পারায় তারাও পার্শ্ববর্তী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে।

মো. আতিকুর রহমান/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।