মৌলিক গল্পের ছবিটি ভালো লাগবে সবার
মৌলিক গল্প নিয়ে নির্মিত ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’ ছবিটি আগামীকাল শুক্রবার সারাদেশের ৬৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। আশিকুর রহমান পরিচালিত ছবিটিতে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল। এখানে তার বিপরীতে রয়েছেন দর্শকপ্রিয় জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। এছাড়া আরো অভিনয় করেছেন শম্পা হাসনাইন, ইমরান হোসেন, টাইগার রবি প্রমুখ।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’ নিয়ে রাজধানীর এক রেঁস্তোরায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তার ফাঁকে ছবিটি নিয়ে জাগো নিউজের সাথে একান্ত আলাপনে পিয়া জান্নাতুল।
জাগো নিউজ : ছবিতে আপনার চরিত্রটি কেমন?
পিয়া : ছবিতে আমার চরিত্রের নাম শিনা। গল্পে অপূর্ব’র নাম শাওন। সে অন্ধকার জীবনের বাসিন্দা। তার জীবনে অনেক কষ্ট থাকে। শাওনের মতো শিনারও একটি কষ্টের অতীত থাকে। সে যে সমাজে বাস করে তাতে বেদনার এক গল্প লুকিয়ে আছে। ঘটনাক্রমে শিনা ও শাওনের পরিচয় হয়। তারা একসঙ্গে অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। একটা সময় শিনা অনুভব করে সে শাওনের প্রতি দুর্বল। যদিও সে জানে শাওনের জীবনের কোনো নিশ্চয়তা নেই্। তবুও সে শাওনের জীবনের সঙ্গেই নিজেকে জড়িয়ে নেয়। এভাবেই নানা নাটকীয়তা আর ক্লাইমেক্সের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে আমার চরিত্রটি।
জাগো নিউজ : দর্শক কেন গাটের পয়সা খরচা করে গ্যাংস্টার রিটার্নস দেখতে যাবে?
পিয়া : দর্শকদের দেখার মতোই একটি ছবিই গ্যাংস্টার রিটার্নস। দর্শকদের আজকাল সবচেয়ে বড় অভিযোগ নকল গল্পের চলচ্চিত্র নিয়ে। সেক্ষেত্রে এই ছবিটিতে গল্প ও নির্মাণে মৌলিকত্ব আছে। সেইসাথে আছে নতুনত্বও। এছাড়া ছবিতে অ্যাকশানও একটু ব্যতিক্রমী। রোমান্স আছে, বিরহ আছে, আছে বাস্তব জীবনের ছায়া। সবমিলিয়ে গ্যাংস্টার রিটার্নস’ একটি পরিপূর্ণ বিনোদনের প্যাজেক। সুতরাং মৌলিক গল্পের এ ছবিটি সবার ভালো লাগবে বলেই আমার বিশ্বাস।
জাগো নিউজ : ছবি মুক্তির আগে সবাই এই ধরেনর কথা বলেন। কিন্তু দর্শক দেখার পর চিত্র পাল্টে যায়...
পিয়া : দেখুন আমি খুব বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করিনি। শুরু থেকেই চেষ্টা করেছি ভিন্ন আঙ্গিকের কাজ দিয়ে দর্শকদের মন জয় করতে। আমার কাজ সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে নিশ্চয়ই তারা আমার কথা বিশ্বাস করবেন। কে কি বলেছে তা আমার জানা নেই। আমি বলছি দর্শকদের দেখার মতোই একটি ছবিই আশিক ভাই তৈরি করেছেন। আমরা শিল্পীরা চেষ্টা করেছি নিজেদের সবটুকু দিয়ে কাজ করার।
জাগো নিউজ : অপূর্বের সাথে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
পিয়া : খুব ভালো। অপূর্ব ভাই খুব ভালো এখন মানুষ এবং কোয়ার্টিস্ট। কাজের ক্ষেত্রে তার কাছ থেকে অনেক সহযোগিতা পাওয়া যায়। তাছাড়া তিনি অনেক ফ্রেন্ডলি। তার সাথে কাজ করে অনেক কিছুই শিখেছি। শম্পার সাথেও কাজের অভিজ্ঞতাটা ছিলো দারুণ।
জাগো নিউজ : পরিচালক আশিকুর রহমান বলছিলেন, ছবিতে প্রচুর অ্যাকশন দৃশ্য রয়েছে। এই অ্যাকশন দৃশ্যগুলোতে কাজ করতে গিয়ে নাকি আপনি ও অপূর্ব বেশ ঝুঁকি নিয়েছেন?
পিয়া : হ্যাঁ। আমি এ ধরনের কাজ কখনো করিনি। করব বলেও ভাবিনি। তাই অ্যাকশান গার্ল হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করতে হয়েছে। ছবিতে প্রচুর দৌড়-ঝাঁপ করার সিকোয়েন্স আছে, মারামারির দৃশ্য তো আছেই। শুটিং করতে করতে এক সময় আমার মাসলের সমস্যা দেখা দিয়েছিলো। পা কেটে রক্ত বের হয়েছিল অপূর্ব ভাইয়ের। তাছাড়া এমনও হয়েছে আমরা টানা ১৮ ঘণ্টা কাজ করেছি এই ছবির জন্য। অনেক ক্ষেত্রে মাত্র দুই-তিন ঘণ্টা ঘুমানোর সুযোগ পেয়েছি। ভালো কিছু হবে বলেই এই কষ্টগুলো আমরা সয়ে গিয়েছি। সবই স্বার্থক হবে দর্শকদের ভালোবাসায়।
জাগো নিউজ : তবে সফল হচ্ছে গ্যাংস্টার রিটার্নস?
পিয়া : হা হা হা..... দেখুন এটা বলা মুশকিল। কোনো চলচ্চিত্রের সফলতা, ব্যর্থতা কিন্তু একান্তই দর্শকের ওপর নির্ভর করে। তারা চাইলেই যে কোনো চলচ্চিত্রের গতিপথ ঘুরিয়ে দিতে পারেন। ‘বেদের মেয়ে জোছনা’ ছবিটির কথাই ভাবুন না! প্রথম চারদিন তো দর্শক হলেই যায়নি। কিন্তু চারদিন যাওয়ার পর সব বদলে গেল। সারা দেশের হলগুলো জনসমুদ্রে পরিণত হলো। তারপর তো বেদের মেয়ে জোসনা একটা কিংবদন্তি হয়ে আছে। আবার অনেক বিগ বাজেটে তৈরি তারকাবহুল চলচ্চিত্রও মুখ থুবড়ে পড়েছে। আসলে সবই নির্ভর করে দর্শকদের মন-মর্জির উপর। ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’র ভাগ্যও না হয় দর্শকের হাতেই ছেড়ে দিলাম।
এনই/এলএ