চলচ্চিত্র একটি অপ্রতিরোধ্য শিল্প


প্রকাশিত: ০৬:৫০ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক বলেছেন, চলচ্চিত্র একটি অপ্রতিরোধ্য শিল্প। এই শিল্পকে কোনো বাধাই আটকে রাখতে পারে না। নিজের যৌবনে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের সময় আমরা হলে গিয়ে চলচ্চিত্র দেখতাম। কিন্তু বর্তমানে সেই ঐতিহ্য দিন দিন হারিয়ে গেছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপি ‘দুই বাংলার চলচ্চিত্র উৎসব-২০১৫’ এর সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে বিকেল ৪টায় এ সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। চলচ্চিত্রের দর্শকদের সমালোচনা করে এসময় তিনি বলেন, যে সমাজ চলচ্চিত্রে ভায়োলেন্স পছন্দ  করে, সে সমাজে ভায়োলেন্স আস্তে আস্তে বেড়ে যায়।

এ সময় সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, গৌতম ঘোষসহ নির্বাক যুগের চলচ্চিত্র ‘দ্য ব্যাটেলশিপ পটেমকিন’র নির্মাতা আইজেনস্টাইনের নাম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন। সমাপনীতে অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশের বিখ্যাত দুই চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম এবং মসিহউদ্দিন শাকের। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভপতি এবং দুই বাংলার চলচ্চিত্র উৎসবের আহ্বায়ক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে।


সমাপনী অতিথির বক্তব্যে ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ চলচ্চিত্রের পরিচালক মসিউদ্দিন শাকের বলেন, ‘পুঁজিবাদ আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। এই পুঁজবাদকে মোকাবেলা করতে সংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, জীবনের জন্য সমস্ত সৃজন। সৃজনের জন্য জীবন নয়। জীবনকে এগিয়ে নিতে চলচ্চিত্রশিল্পকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সকলকে আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম বলেন, এই উৎসব স্মরণ করিয়ে দেয় যে বাঙালির ঐতিহ্যকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার। কোনো কিছুই এই ঐতিহ্যকে আটকে রাখতে পারবে না।

রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সন্দীপ মিত্র বলেন, এই উৎসব দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী বিশ্বববিদ্যালয়ের মনে স্মরনীয় হয়ে থাকবে।

এ সময় সমাপনী অনুষ্ঠানে অভিভাষণ ব্যক্ত করেন রাজশাহীর ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ডা. এফ এম এ জাহিদ ও রাজশাহী ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহসান কবীর লিটন।

সমাপনী অনুষ্ঠানের শেষে ইয়াসমিন কবীরের প্রমাণ্যচিত্র ‘স্বাধীনতা’, মোরশেদুল ইসলামের ‘চাকা’ এবং গৌতম ঘোষের ‘মিটিং এ মাইলস্টোন’ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।

সপ্তাহব্যাপি এ চলচ্চিত্র উৎসবে অনুষ্ঠিক সকল সেমিনার ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী সকল দর্শক-শ্রোতার জন্য উন্মুক্ত ছিল। চলচ্চিত্র উৎসবের অন্যান্য দিনের মতো এদিনেও সিনেমা দেখতে দর্শকদের ঢল নামে।

রাশেদ রিন্টু/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।