বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আ.লীগ-যুবলীগ-কৃষকলীগের অবস্থান
হেফাজতে ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা।
রোববার (২৮ মার্চ) সকাল থেকে তারা দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগানে হরতালের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
হরতালের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার বিষয়ে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজউদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আজকে হেফাজতে ইসলাম কর্তৃক যে হরতাল ডাকা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতের যে ভূমিকা ছিল তা বাংলাদেশ চিরদিন স্মরণে রাখবে এবং রাখছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে যারা স্বীকার করে না, স্বাধীনতাবিরোধী চক্র জামায়াত হেফাজতের ব্যানারকে ব্যবহার করে হরতালের ইন্ধন জুগিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি এখন স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে একাত্ব হয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে পছন্দ করছে না। শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য জামায়াত এবং হেফাজতকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার পাঁয়তারা করছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়েছিল মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। নরেন্দ্র মোদি বিএনপি নামক সন্ত্রাসী দলটিকে সেভাবে পাত্তা দেয়নি। যার কারণে যখনই তারা বুঝল তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে না তখন ছাত্রদল-যুবদল মিছিল-মিটিং করে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আগামী দিনে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভারতকে কাছে পেতে তারা চুপ ছিল। যখন দেখল নরেন্দ্র মোদি তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন না, তখনই তারা আবার রাজপথে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম শুরু করল। আমরা এসব ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের মূলোৎপাটন করার জন্য রাজপথে আছি এবং থাকব।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ইব্রাহীম মোল্লা জাগো নিউজকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া কৃষকলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ হেফাজতের অবৈধ হরতাল ও অনৈতিক দাবির বিপক্ষে আমরা রাজপথে আছি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা রাজপথে অবস্থান করে যেকোনো প্রকার নাশকতা এবং তাণ্ডবকে প্রতিহত করে এসব অপশক্তিকে বিতাড়িত করব ইনশাল্লাহ। আজ সারাদিন রাজপথে আমাদের অবস্থান থাকবে।’
আইএইচআর/এমএইচআর/এমকেএইচ