জিয়াউর রহমানকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব দেয়া হবে : অলি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২৩ পিএম, ২০ মার্চ ২০২১

আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমানের পেছনে লেগে লাভ নাই। যদি তার ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে তাকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাব দেয়া হবে।’

অলি আহমদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা। চেতনা কোথা থেকে আসে? শুয়ে শুয়ে কি চেতনা আসে? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তো হবে যারা অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছে তাদের। আওয়ামী লীগের একজন নেতার নাম বলেন, যিনি ‘বীর উত্তম’, ‘বীর বিক্রম’ বা ‘বীর প্রতীক’ ছিলেন। একজন সেক্টর কমান্ডারের নাম বলেন, যিনি আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। সবাই তো সেনাবাহিনীর। সেনাবাহিনী না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকায় ক্র্যাকডাউনের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেজর জিয়ার নেতৃত্বে আমরা অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকরা বিদ্রোহ করি। জিয়াউর রহমানের ঘোষণা শুনার পর সবার মধ্যে চেতনা আসলো যে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে, আমাদের তাতে অংশ নিতে হবে। ২৯ মার্চের আগে কেউ যুদ্ধে শামিল হয়নি।’

শনিবার (২০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে এলডিপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অলি আহমেদ বলেন, ‘আমি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বসে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রেডি করি। জিয়াউর রহমানের যদি দুরভিসন্ধি থাকত, তাহলে বঙ্গবন্ধুর নাম নেওয়ার কোনো প্রশ্ন আসতো না। ২৭ মার্চ সন্ধ্যার পর আমি এবং জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রেডি করলাম এরপর তিনি রেডিওতে ঘোষণা দিলেন। এই ঘোষণা প্রতি এক ঘণ্টা পর পর প্রচারের জন্য শমসের মুবিনকে দায়িত্ব দেয়া হলো। যাতে বাংলার জনগণ সবাই শুনতে পারে।’

কেএইচ/এমএইচআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।