রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি মানুষের ওপর বাড়তি চাপ : ন্যাপ
রমজানকে সামনে রেখে আবারও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নতুন ফাঁদ পেতেছে। সেই অসৎ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এ আহ্বান জানান।
তারা বলেন, রমজান আগাম বার্তার সঙ্গে সঙ্গে নিত্যপণ্যের দাম পরিকল্পিতভাবে বাড়ানো হচ্ছে। রমজানে পণ্যের দাম বেড়েছে- এমন অভিযোগ যাতে না ওঠে সেজন্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। অযৌক্তিক মুনাফা করতে ব্যবসায়ীরা সময় ও সুযোগ বুঝে পণ্যের দাম বাড়ায়। এ প্রবণতা ভোক্তা কিংবা সরকার কারো জন্যই শুভ নয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বল্প সময়ের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারে সব ধরনের ডাল, ভোজ্যতেল, আদা-রসুন-পেঁয়াজ, হলুদ-মরিচ, চিনি-লবণ এমনকি খেজুরের দাম বাড়ানো হয়েছে। গরুর মাংস ও মুরগির মাংসেরও দাম বেড়েছে। বাড়তি দরে পণ্য কিনতে ভোক্তার নাভিশ্বাস উঠেছে। করোনাভাইরাসের কারণে এমনিতেই মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। এরপর নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে নিম্নআয়ের মানুষের ওপর বাড়তি চাপ পড়বে।
নেতৃদ্বয় বলেন, বাজার নজরদারির জন্য রাজনৈতিক দলসহ দেশের সবাই সবসময় বলে আসছে। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। দ্রুত বাজার সঠিকভাবে মনিটরিং করা না হলে যে সিন্ডিকেট তৈরি হচ্ছে, তা রমজান পর্যন্ত থামানো যাবে না। তাই এখন থেকে বাজার গভীরভাবে পর্যালোচনা করে তদারকি করা উচিত। রমজানকে কেন্দ্র করে বিশেষ নজরদারি জরুরি।
তারা আরও বলেন, অযৌক্তিকভাবে কেউ দাম বাড়ালে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় বরাবরের মতো অসাধুরা অতি মুনাফা লুটে নিতে ভোক্তার পকেট কাটবে। এতে ভোক্তারা বিড়ম্বনা পড়বে। এছাড়া বাজার ব্যবস্থায় বর্তমানে কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা নেই। তারা অযৌক্তিক মুনাফার উদ্দেশ্যে সময় ও সুযোগ বুঝে পণ্যের দাম বাড়িয়ে আসছে।
কেএইচ/এআরএ/এমএস