সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী এবং জামায়েতের সেক্রেটারি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
রোববার দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কেন্দ্রে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির মাধ্যমে ১৯৭১ সনে যুদ্ধাপরাধী রাজাকারেরা যে জঘন্য অপকর্ম করেছিল, তার সাজা হলো। আমরা যদি ২০১৫ সালের পরিবর্তে ১৯৭১ এর চোখ দিয়ে দেখি, তাহলে তাদের মানবতাবিরোধী অপরাধ আরো পরিষ্কারভাবে ফুটে ওঠবে।
মন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছভাবে আইনের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ক্ষেত্রে ১০দিন কম ৫ বছর এবং আলী আহসান মুজাহিদের ক্ষেত্রে ৪ বছর ৬ মাস সময় লেগেছে।
ইনু বলেন, আন্তর্জাতিকমানের এ বিচারিক প্রক্রিয়া ছিল প্রকাশ্য এবং স্বচ্ছ। আপিল করাসহ সকল আইনি সুবিধা পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা। বিচারের সকল ধাপ অতিক্রম করে যখন নিশ্চিতভাবে অপরাধ প্রমাণ হয়েছে তখনই অভিযুক্তদের সাজা দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে ইতিহাসের পানে তাকালে আপনারা দেখবেন, নূরেমবার্গে মাত্র ৩৪৫ দিনে শতাধিক যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা হয় এবং সেখানে কোন আপিলের সুযোগ ছিল না।
হাসানুল হক ইনু বলেন, এই বিচার বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নয়। বিরোধী নেতাকে দণ্ড দেয়া নয়, একজন অপরাধীকে দণ্ড প্রদান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাজাপ্রাপ্তরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন। সে আবেদন মহামান্য রাষ্ট্রপতি খারিজ করার পরই আদালতের রায় কার্যকর করা হয়।
তিনি বলেন, সরকার বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান ঘটিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। আমরা ’৭৫-এর খুনীদের বিচার করেছি, বর্তমানে ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে এবং একে একে আমরা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার করবে।
এসএ/এসকেডি/পিআর