আদালত যুদ্ধাপরাধের সঠিক রায় দিয়েছেন : এরশাদ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, আদালত যুদ্ধাপরাধের সঠিক রায় দিয়েছেন। আদালতের বাইরে যাওয়ার কারও সুযোগ নেই। রোববার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মঞ্চে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, রায়কে আমি সম্মান করি। রায় সবাইকে মানতে হবে। আমরা যে দেশে বাস করছি সেদেশে এখন কোনো গণতন্ত্র নেই। আপনারা গণতন্ত্রের রূপতো দেখছেন। টেলিভিশনে কথা বলতে গেলে টেলিভিশন বন্ধ করে দেয়া হয়। মানুষ এখন বাইরে বের হতে পারে না। চলাচল করা যায় না। সকালে বের হলে বিকেলে বাসায় ফিরতে পারবে কিনা তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কথা বলার সুযোগ নেই। লেখার সুযোগ নেই। এখন আমরা অবরুদ্ধ।
জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক শরীফ মুনীর হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, সুনীল শুভ রায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রিন্স প্রমুখ।
তিনি বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছে। বিএনপি আমাকে নির্জন কারাবাসে পাঠিয়েছিল। তারা চেয়েছিল আমি আত্মহত্যা করি। আমি বোঁচে আছি। তাদের চেয়ে ভালো আছি। আমার ওপর অনেক অনেক অত্যাচার হয়েছে। আল্লাহ এর বিচার করবেন।
তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, জাতীয় পার্টির আমলে দেশে জেলা-উপজেলা, রাস্তাঘাট, ব্রিজসহ দেশের অনেক উন্নতি হয়েছে। আমি সফল সেনা প্রধান ও রাষ্ট্রনায়ক ছিলাম। আমাকে একবার শেষ সুযোগ দেন। আমাকে সহযোগিতা করেন। দলকে শক্তিশালী করেন।
তিনি বলেন, নড়াইলের সন্তান প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী এক সময় না খেয়ে থাকতেন। আমি তাকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছি। শিল্পী সুলতান আমাকে ৫ কোটি টাকা মূল্যের ছবি উপহার দিয়েছেন। সে ছবি আমার বাসায় শোভা পাচ্ছে।
এদিকে সম্মেলনে নেতৃবৃন্দের বক্তব্য চলাকালে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নড়াগাতি থানা যুব সংহতির আহবায়ক মিল্টন মোল্যাকে বক্তব্য দিতে না দেওয়ায় তার সমর্থকরা মঞ্চে উঠে বাক বিতণ্ডা শুরু করেন। তখন নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
হাফিজুল নিলু/এমজেড/পিআর