পেট্রলবোমায় নিহত দুইজনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন


প্রকাশিত: ০২:২৬ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০১৫

কুমিলার চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রলবোমা হামলায় নিহত কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের মোহাম্মদ ইউছুপ ও রাশেদুল ইসলাম বাদশার মরদেহ দাফনের সাড়ে ৯ মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

মরদেহ উত্তোলনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) মো. মাসুদ আলম, চকরিয়া থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো.কামরুল আজম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল, বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান এটিএম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী জিয়া ও হারবাং পুলিশ ফাড়ির আইসি দেবাশীষ সরকারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা মরদেহ দুটি উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন। দুপুর ২টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুইটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Chakaria
পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৪০-৮০) একটি বাস চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় পেট্রলবোমায় আক্রান্ত হন। এ সময় ঘটনাস্থলে ও পরে আটযাত্রী দগ্ধ হয়ে মারা যান। নিহতদের মধ্যে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের আবু তাহের, বরইতলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মোহাম্মদ ইউসুফ ও মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।

তাদের মধ্যে আবু তাহেরের ময়নাতদন্ত হয় মারা যাওয়ার পর। তবে ইউছুপ ও বাদশাসহ অন্যদের মরদেহ কুমিলার জেলা প্রশাসন মানবিক কারণে ময়নাতদন্ত না করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। ফলে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে আইনি জটিলতা দেখা দেয়। এ অবস্থায় তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের কাছে ফের মরদেহগুলো উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ২ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক প্রাথমিক সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিশ্চিত করতে কবর থেকে মরদেহগুলো উত্তোলনের নির্দেশ দেন।

চকরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, আদালতের নির্দেশে ঘটনার সাড়ে নয় মাস পর শনিবার সকালে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আলী আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ইউছুফ ও ছৈয়দ আহমদের ছেলে রাশেদুল ইসলামের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ পাহারায় কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সায়ীদ আলগীর/এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।