নেতাকর্মীদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান মির্জা আব্বাসের
দলের সব নেতাকর্মীকে কাজে-কর্মে সক্রিয় হয়ে সামনে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এমন আহ্বান জানান।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা যে ভাষার জন্য লড়াই করেছি, যে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছি, বিজয় আমাদের হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা এখনও অর্জিত হয়নি, সার্বভৌমত্ব এখন হুমকির মুখে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবাইকে কাজে-কর্মে সক্রিয় হয়ে সামনে আসতে হবে। আপনারা যদি আসেন, আমরাও সামনে রেখে কিছু একটা করতে পারি। এই ফ্যাসিবাদী মাফিয়া সরকারকে আর বেশিদিন ক্ষমতায় রাখা যাবে না। তাহলে আমার আম-ছালা সবই যাবে, দেশও যাবে, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বও যাবে আর ভাষাও যাবে।’
সভায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ অর্জন যেমন আমাদের ভাষার অধিকার, তেমনি শ্রেষ্ঠ অর্জন ছিল আমাদের স্বাধীনতার প্রাপ্তি। যেই স্বাধীনতার আড়ালে ছিল একটি চিন্তা- গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাটা আমরা এখনও প্রতিষ্ঠিত করতে পারি নাই। গণতন্ত্রবিহীন রাষ্ট্রে বসবাস করা আর পরাধীন দেশের নাগরিকের সাথে খুব একটা আলাদা ভাবা যায় না।’
‘দেশটা স্বাধীন কাগজে-কলমে। কিন্তু আমরা পরাধীন। মাঝে মাঝে মনে হয় যে, সাত সাগর পাড়ি দিয়ে মনে হয় আমরা সৈকতেই পড়ে আছি। আমরা অনেক জীবন, আমাদের অনেক সাথী রক্ত দিলো, অত্যাচারিত হলো কিন্তু আজো সেই গণতন্ত্রকে আমরা মুক্ত করতে পারলাম না।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আবদুল মঈন খান বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন কারা করেছেন সেটা আমরা সবাই জানি। আজকে নতুন নতুন নাম শুনি, তারা নাকি একুশে ভাষা আন্দোলনে বিরাট ভূমিকা পালন করেছিলেন। আমি তাদের নাম উল্লেখ করতে চাই না। শুধু এইটুকু বলব যে, জোর করে ইতিহাস লেখা যায় না।’
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান বক্তব্য রাখেন।
কেএইচ/এসএস/এমকেএইচ