বেনাপোলে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার, ব্যবসায়ীদের ভিন্নমত
যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার আমড়াখালি চেকপোস্ট থেকে একটি ট্রাকসহ ১৫১ প্যাকটে ভারতীয় শাড়ি আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গত সোমবার (১৬ নভেম্বর) এই শাড়িগুলো আটক করলেও বিজিবি কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বিজিবি জানায়, যশোর-২৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে একটি টহল দল সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমড়াখালী সংলগ্ন যশোর-বেনাপোল প্রধান সড়কে অভিযান চালিয়ে একটি ট্রাকসহ ১৫১ প্যাকেট ভারতীয় শাড়ি আটক করে।
আটককৃত মালামালের সঙ্গে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আটককৃত মালামালের মূল্য আট কোটি বারো লাখ বিশ হাজার টাকা বলে বিজিবি দাবি করেছে। আটক মালামাল যশোর শুল্ক গুদামে জমা করা হয়েছে বলে জানায় বিজিবি।
অন্যদিকে বেনাপোলের সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরা জানান, বৈধপথে আমদানিকৃত থান কাপড় বেনাপোল কাস্টমস হাউজ থেকে শুল্ককরাদি পরিশোধ করে ছাড় নিয়ে ঢাকায় পাঠানোর সময় বিজিবি তা আটক করা শাড়ি বলে কাস্টমে জমা দিয়েছে। আমদানিকৃত পণ্যের কাগজপত্র থাকার পরও বিজিবি তা মানেনি।
এর আগে, গত ৯ নভেম্বর বৈধপথে আমদানিকৃত ও শুল্ক পরিশোধিত পণ্য অবৈধভাবে আটক ও হয়রানির প্রতিবাদে সাড়ে তিন ঘণ্টা যশোর-বেনাপোল সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন। এ সময় বিজিবি সদস্যরা দুই ট্রাক বৈধপণ্য বেনাপোলে জমা দিতে না পেরে যশোর নেয়ার উদ্যোগ নেয়ায় অবরোধ করা হয়।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা জানান, বিজিবি সদস্যরা আমদানি নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধা না রেখে অন্যায়ভাবে প্রতিনিয়ত এভাবে বৈধ আমদানিকারকদের পণ্য আটকে হয়রানি করে আসছে। বার বার বলার পরও এর কোনো প্রতিকার হচ্ছে না।
কাস্টম বিজিবির প্রতিনিয়ত হয়রানির কারণে বেনাপোল বন্দর থেকে আমদানিকারকরা অন্য বন্দরে চলে যাচ্ছেন। এর ফলে রাজস্ব আদায় দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। বেনাপোল বন্দরকে ধবংস করার জন্য একটি মহল নানাভাবে অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে তিনি জানান।
মো. জামাল হোসেন/বিএ