সাকা-মুজাহিদের রায়ে শঙ্কিত বিএনপি
বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও চার দলীয় জোটের সাবেক মন্ত্রী জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের চূড়ান্ত ফাঁসির রায়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে বিএনপি।
বুধবার দুপুরে রায় ঘোষণার পর থেকেই কল রিসিভ করছেন না দলটির শীর্ষ নেতারা। পাশাপাশি রায়ের বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া নেই বলেও জানিয়েছেন অনেকে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে দলের একটি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান রিভিউ আবেদন খারিজ করার পর থেকেই তিনি ফোন রিসিভ করছেন না।
এদিকে টকশো থেকে শুরু করে নানা ফোরামে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়ার এরকম এক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমদ আজম জাগোনিউজকে বলেন, এ বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য দায়িত্বশীল নেতা নন। তাই সাকা ও মুজাহিদের রায় নিয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না।
দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বলেন, প্রতিক্রিয়া জানানোর কিছু নেই। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিচার হোক এটা আমরা চাই। তিনি বলেন, কেবলই তো রায় হলো, বিষয়টি নিয়ে কি করা যায় পরে দেখা হবে।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিষয়ে নিরবতায় দলটির অভ্যন্তরেই নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপি জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক রায় ঘোষণা করায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছে বিএনপি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় করণীয় কি সেটাও চূড়ান্ত করতে পারেনি তারা।
এদিকে বর্তমান ট্রাইবুনালের আন্তর্জাতিক মান নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে নানা সমালোচনা করা হলেও যখন একের পর এক রায় ঘোষণা করা হচ্ছে তখন নিরবতা দেখাচ্ছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। ফলে এসব বিষয়গুলোকে কোন দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করবেন তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
পটুয়াখালী জেলার বিএনপি সমর্থক রুবেল বলেন, বর্তমান ট্রাইব্যুনাল নিয়ে নানা সমালোচনার কথা শুনছি। তবে এই ট্রাইব্যুনাল থেকে রায় ঘোষণার পর দলের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া না থাকায় বিষয়টি নিয়ে অন্ধকারে রয়েছি।
এমএম/জেডএইচ/এমএস