আবারো পেছালো কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ


প্রকাশিত: ০৯:৩৯ এএম, ১২ নভেম্বর ২০১৫

কারাগারে থাকা সব সাক্ষী ও তাদের আইনজীবীরা উপস্থিত না হওয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পঞ্চমবারের মতো পিছিয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার সপ্তম সাক্ষ্যগ্রহণের দিনে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসানের আদালতে আসামীরা হাজির থাকলেও সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়নি। একই কারণে এ নিয়ে চার দিন এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছালো।

সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর জাগো নিউজকে জানান, মামলায় গ্রেফতার ১৪ আসামির মধ্যে হবিগঞ্জের মেয়র জিকে গৌছসহ পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

অন্য মামলায় হাজিরা থাকায় আসামিদের বৃহস্পতিবারও হাজির করা যায়নি। কিন্তু তাদের আইনজীবীরাও উপস্থিত না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি আদালত। আগামী ১৮ ও ১৯ নভেম্বর আলোচিত এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য রয়েছে।

এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খান, ২১ অক্টোবর তিনজন ও ৫ নভেম্বর দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। চাঞ্চল্যকর এ মামলায় মোট ১৭১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করার কথা রয়েছে।

টানা নয় দফা পেছানোর পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। মামলার কারান্তরীণ সকল আসামির উপস্থিতিতে সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান চার্জ গঠন করেন। মোট ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করা হয়েছে।

অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিসিক এর মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গউছ, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। ওই হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী।

এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।

তিন দফা তদন্তের পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।

হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল­াহ মামলাটি বিচারের জন্য গত ১১ জুন সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন।
    
ছামির মাহমুদ/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।