নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতারের অভিযোগ জামায়াতের
জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের গণহারে গ্রেফতারের অভিযোগ তুলেছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য হামিদুর রহমান আজাদ।
রোববার দলটির কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে প্রেরিত এম. আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ তুলেন তিনি ।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ৭ এবং ৮ নভেম্বর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশের বিভিন্ন জেলায় জামায়াতের নেতা-কর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করে সরকার জাতির ঘাড়ে একদলীয় স্বৈরশাসন চাপিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশের বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলায় গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে বরিশাল মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমির বজলুর রহমান বাচ্চু, ফেনী জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুল হক ও অফিস সেক্রেটারি মাস্টার শফিকুল ইসলাম।
পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা মোফাজ্জল হোসেন, রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল লতিফ, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর পৌরসভা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. ফজলুল করিম।
বরিশাল মহানগরী জামায়াতের ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অ্যাড. সালাহ উদ্দিন মাসুম, মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য তবিবুর রহমান ও ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আবদুল মজিদ মাস্টারসহ বহু নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
আজ পুলিশ জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মাদপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি শহিদুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার ঘর থেকে জমির কাগজপত্র এবং তার নিজের ও ছেলের শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সার্টিফিকেটসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে গেছে।
লিখিত বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, সরকার শক্তির জোরে অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করে তাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে।
এএম/এসকেডি/পিআর