শহরে যাওয়ার আগ্রহ কমিয়ে দিচ্ছে রাস্তা


প্রকাশিত: ১১:০৮ এএম, ০৩ নভেম্বর ২০১৫

দীর্ঘদিন যাবৎ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় ঝিনাইদহের ৬ উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা হুমখির মুখে পড়েছে। শহর কিংবা গ্রামের বেশির ভাগ পাকারাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তার দু`পাশের ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। বছরের পর বছর ধরে এসব রাস্তা মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না। ফলে শহরের সঙ্গে গ্রামের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক মুখ থুবড়ে পড়েছে।

ঝিনাইদহ এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট রাস্তার দৈর্ঘ ৪ হাজার ৬২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে কাচারাস্তা রয়েছে ২ হাজার ৯৮৭ কিলেমিটার। পাকা ও আধাপাকা রাস্তার দৈর্ঘ্য এক হাজার ৬৩৭ কিলোমিটার।

Top
সূত্র জানায় ঝিনাইদহ এলজিইডির অধিন পিচ রাস্তা রয়েছে এক হাজার ১৭৯ কিলোমিটার।

সরেজমিন দেখা গেছে, এসব রাস্তার বেশির ভাগ চলাচলের অযোগ্য। বছরের পর বছর রাস্তুগুলো মেরামত হচ্ছে না। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয় ভবন থেকে আসাননগর গ্রামের ৭০০ মিটার রাস্তা ১৯৯৪ সালের পর থেকেই নষ্ট। বর্তমান রাস্তাটি ভেঙে গর্তে পরিণত হয়েছে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি মেরামত করা হচ্ছে না। এ রাস্তা দিয়ে ৩০ গ্রামের মানুষ দশমাইল, ডাকবাংলা, শরৎগঞ্জ ও বৈডাঙ্গা বাজারে যাতায়াত করে। চরপাড়া থেকে খাড়াগোদা বাজার ভায়া হলিধানী রাস্তাটির চোরকোল গ্রাম থেকে খাড়াগোদা পর্যন্ত পিচ খোয়া উঠে গেছে।

চাকলাপাড়া থেকে হরিনাকুণ্ডু রাস্তাটি চাঁদপুর, শাখেরীদহ, কাপাশহাটিয়া ও ভালকী পায়রাডাঙ্গা গ্রামের অংশ নষ্ট হয়ে গেছে। অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তায় যানবাহন চলাচল করেছ।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের সামনে থেকে নারিকেলবাড়িয়া বাজার রাস্তাটির দুই ধারে ভেঙে চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। কোটচাঁদপুরের বলুহর বাসস্ট্যান্ড থেকে ধোপাবিলা বাজার ভায়া সাবদারপুর, খালিশপুর থেকে ভোমরাডাঙ্গা, কালীগঞ্জের কোলা বাজার থেকে কালীগঞ্জ, বারবাজার থেকে পশ্চিম ও দক্ষিণের রাস্তাগুলোর অবস্থা বেহাল। মহেশপুর শহর থেকে সীমান্ত এলাকা ও চৌগাছা বাজার পর্যন্ত সব রাস্তা ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

"Top/
ঝিনাইদহ শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে হামদহ পর্যন্ত রাস্তার একই দশা। সদর উপজেলার সাধুহাটী মারোমাসিয়া ব্রিজ থেকে রাঙ্গীয়ারপোতা পর্যন্ত রাস্তাটি খানাখন্দকে ভরা। গ্রামের মানুষ চলাচল করতে পারে না।

এসব ব্যাপারে ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রকিবুল ইসলাম জানান, রাস্তার গুরুত্ব বুঝে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। গ্রামের কিছু রাস্তা আছে যেগুলো রাজনৈতিক কারণে তৈরি হবে কিন্তু মেরামত হবে না। এসব রাস্তা মেরামতের কোনো ফান্ড আসে না। তারপরও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা প্রায় সময় মেরামত করা হয়। তবে গ্রামের কিছু রাস্তা মেরামতের ক্ষেত্রে নিদির্ষ্ট ফান্ডের জন্য অপক্ষো করতে হয়।

এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।