বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রণব মুখার্জি তার দুই কন্যাকে আগলে রেখেছিলেন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০৮ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফাইল ছবি

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে ‘বাংলাদেশ বিশ্বস্ত এক বন্ধু হারালো’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু।

তিনি বলেছেন, ‘প্রণব মুখার্জি বঙ্গবন্ধু পরিবারের অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর শেখ হাসিনা-শেখ রেহানা দিশেহারা, অন্যদেশে আশ্রয় মেলেনি। এই সময়ে প্রণব মুখার্জি তাদের আগলে রেখেছিলেন। দুই বোনকে প্রাণে বাঁচাতে পাহারার ভূমিকায় ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যাকে প্রণব মুখার্জি আগলে রেখেছিলেন।’

সোমবার (৩১ আগস্ট) ভারতের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে জাগো নিউজের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এ কথা বলেন আমির হোসেন আমু।

তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক রক্তের। এই সম্পর্ক নির্ধারণ করতে যে কয়জন মানুষ সর্বাগ্রে ভূমিকা রেখেছেন, তাদের মধ্যে প্রণব মুখার্জি প্রধানতম। আমরা বাঙালি হিসেবে তার ঋণ কখনই ভুলতে পারব না। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু।’

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর শেখ হাসিনা-শেখ রেহানা দিশেহারা, অন্যদেশে আশ্রয় মেলেনি। এই সময়ে প্রণব মুখার্জি তাদের আগলে রেখেছিলেন। দুই বোনকে প্রাণে বাঁচাতে পাহারার ভূমিকায় ছিলেন। তার এই অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি আমরা। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে সম্পর্ক তার রূপায়নে প্রণব মুখার্জি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তাকে আমরা চিরকাল মনে রাখব।’

উল্লেখ্য, সোমবার (৩১ আগস্ট) বিকেলের দিকে নয়াদিল্লির আর্মি রিসার্চ অ্যান্ড রেফারাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান প্রণব মুখার্জি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে ভারত হারালো একজন বিজ্ঞ ও দেশপ্রেমিক নেতাকে, আর বাংলাদেশ হারালো একজন আপনজনকে। তিনি উপমহাদেশের রাজনীতিতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে বেঁচে থাকবেন।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ভারতে নির্বাসিত থাকাকালে প্রণব মুখার্জি আমাদের সবসময় সহযোগিতা করেছেন। এমন দুঃসময়ে তিনি আমার পরিবারের খোঁজখবর রাখতেন এবং যেকোনো প্রয়োজনে আমার ছোট বোন শেখ রেহানা ও আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। দেশের ফেরার পরও প্রণব মুখার্জি সহযোগিতা এবং উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি আমাদের অভিভাবক ও পারিবারিক বন্ধু ছিলেন। যে কোনো সংকটে তিনি সাহস জুগিয়েছেন।’

এএসএস/এফআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।