‘কাল থেকে কেউ গণপরিবহনে বর্ধিত ভাড়া দেবেন না’
ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন বলেছেন, করোনার মধ্যে যখন মানুষের পেটে ভাত নেই, পকেটে টাকা নেই তখন খোঁড়া অজুহাতে গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, যা এখনও চলছে। করোনার আপডেট দেয়াও সরকার বন্ধ করেছে। তাহলে ভাড়া কেন বর্ধিত থাকবে। বর্ধিত ভাড়া কাল থেকে কেউ দেবেন না।
তিনি আরও বলেন, কাল থেকে প্রত্যেকটি গণপরিবহনে পরীক্ষা করা হবে। যদি বর্ধিত ভাড়া নেয়া হয়, তাহলে সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে যা করা দরকার তাই করতে বাধ্য হবো বলেও জানান তিনি।
ইসলামী যুব আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটি মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘গণপরিবহনের ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার দাবি’তে আয়োজিত মানববন্ধনে এ কথা বলেন মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন।
ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ, ভাত নেই, টাকা নেই। সন্তানের লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম। এই সময়ে বর্ধিত ভাড়ার নামে এরকম নির্যাতন আমরা আর কতদিন সহ্য করবো। সাবধান হোন, বর্ধিত ভাড়া রহিতের নির্দেশনা জারি করতে হবে। নইলে গণপরিবহনের হয়ে সরকারের যারা তল্পিবাহকের কাজ করছেন তাদের মোকাবিলা করা হবে।
তিনি বলেন, শ্রমিক ও যাত্রীদের মুখোমুখি করে গণপরিহনের মালিকদের স্বার্থ মেনে নেয়া হবে না। পরিবহন শ্রমিকরা আমাদের শত্রু নয়। কিন্তু যাত্রীদের বিষয়টিও ভাবতে হবে। কোনো যাত্রী যেন কাল থেকে গণপরিবহনে বর্ধিত ভাড়া না দেন সেই আহ্বান জানান তিনি।
ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কে এম আতিকুর রহমান বলেন, করোনার খোঁড়া অজুহাতে গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বর্ধিত করে আবারো প্রমাণ করেছে এ সরকার জনগণের নয়। তারা শুধু একটি গোষ্ঠীর স্বার্থে ক্ষমতায় বসে আছে। করোনায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেই দূরত্বের বালাই নেই।
তিনি আরও বলেন, বর্ধিত ভাড়া ঠিকই আছে এমন কথা সরকারের কেউ বলার সাহস রাখে না। তার মানে এই সরকার পরিবহন সেক্টরের কিছু সন্ত্রাসীদের কাঁধে ভর করে টিকে আছে। তাই তাদের স্বার্থের বিপক্ষে যায় এমন কিছু সরকার করবে না।
তিনি আরও বলেন, করোনা সংকটের শুরু থেকেই প্রতিটি বিষয়ে সরকার চরম ব্যর্থ। এরপরও সরকারের কিছু মন্ত্রী অযাচিত কথা বলছেন। জাতির এ সংকটকালে অযাচিত কথা বলে দেশের মানুষের সঙ্গে তামাশা করবেন না।
বক্তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বলেন, স্বাস্থ্যের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বে থাকার কোনো যোগ্যতাই তার নেই। তাই অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করুন।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রকৌশলী আতিকুর রহমান মুজাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মানছুর আহমাদ সাকী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ নূর-উন-নবী, দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ মাহবুব আলম, প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ ইলিয়াস হাসান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা জহিরুল ইসলামসহ নগর নেতারা।
জেইউ/এএইচ/পিআর