শার্শা উপজেলা বনকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ


প্রকাশিত: ০৯:৩১ এএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৫
ফাইল ছবি

যশোরের শার্শা উপজেলা বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তিনি গোলকাঠ বোঝাই ট্রাক প্রতি তার নির্ধারিত ঘুষের টাকা না দিলে পাসিং হ্যামারসহ অনুমতিপত্র দেন না। এ খাত থেকে তিনি প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করছেন বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।
 
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, শার্শা উপজেলা এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ কাঠের মোকাম হিসেবে পরিচিত। এই উপজেলা থেকে প্রতি মাসে শতাধিক ট্রাক বিভিন্ন জাতের বনজ গোলকাঠ রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা ও নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান হয়। কাঠের উপর বিনামূল্যে পাসিং হ্যামারসহ অনুমতিপত্র প্রদানের সরকারি নিয়ম রয়েছে। অথচ শার্শা উপজেলা বনকর্মকর্তা কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ট্রাক প্রতি ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ না দিলে কাঠের উপর পাসিং হ্যামার (সিল) মারেন না। দেন না অনুমতিপত্র। এ খাত থেকে বন কর্মকর্তার মাসিক আয় ২ লাখ টাকা।

এ ব্যাপারে উপজেলার জামতলা এলাকার শ্রমিক সর্দ্দার রবিউল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, প্রতিমাসে তিনি ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক গোলকাঠ লোড করেন। লোড খরচ হিসেবে তাদেরকে দিতে হয় সাত হাজার টাকা। এর মধ্যে বনকর্মকর্তার দুই হাজার টাকা রয়েছে। অধিকাংশ সময় বনকর্মকর্তার সঙ্গে কাঠ ব্যবসায়ীরা সরাসরি এ লেনদেন করে থাকেন।

শ্রমিক সর্দ্দার ইসমাইল হোসেন জানান, তিনি প্রতিমাসে ৩৫ থেকে ৪০ ট্রাক গোলকাঠ লোড দিয়ে থাকেন। তাদের মাধ্যমে বনবিভাগ কর্মকর্তাকে ১ হাজার আশ টাকা দিলেই পাসিং হ্যামার (সিল) ও অনুমতিপত্র পাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকেন।

উপজেলা বনকর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, পাসিং হ্যামারসহ (সিল) অনুমতিপত্র প্রদানে টাকা নেয়ার সরকারি কোনো নিয়ম নেই। নিয়ম অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে আবেদন করলে পাসিং হ্যামারসহ (সিল) অনুমতিপত্র প্রদানে এক সপ্তাহ সময় লাগে। ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাসিং হ্যামারসহ (সিল) অনুমতিপত্র দিয়ে থাকি। তাই ব্যবসায়ীরা খুশি হয়ে এ টাকা দিয়ে থাকেন। কারও কাছ থেকে জোর করে কোনো টাকা নেয়া হয় না।

মো. জামাল হোসেন/এমজেড/এমএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।