আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম বিঘ্নিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৪৯ এএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৫

নাশকতা এবং এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা খুনের ঘটনায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পরিষদে অনুপস্থিত থাকায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে এই পরিষদের আওতাধীন ১৬ দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চলতি মাসের বেতন-ভাতা না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন।

জানা গেছে, ঢাকার দারুসসালাম থানার এএসআই মো. ইব্রাহিম মোল্লা খুনের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা জামায়াতের নায়েব আমীর পল্লী চিকিৎসক ইউনুস আলী, উপজেলা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা রফি আহম্মেদ আচ্চুসহ প্রায় ৮জন।

পুলিশের এই অভিযানের পর থেকে আত্মগোপনে চলে গেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান-উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মহিত তালুকদার এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াত কর্মী ফারহানা আহম্মেদ মালা।

বুধবার অনুষ্ঠিত উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায়ও অনুপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মহিত তালুকদার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াত নেত্রী ফারহানা আহম্মেদ মালা। এছাড়াও অনুপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ছাতিয়ান গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুল মোত্তাকিন তালুকদার মুক্তা এবং উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নসরতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা।

এদিকে, গ্রেফতার এবং আত্মগোপন জনিত অনুপস্থিতির কারণে উপজেলা প্রশাসনের প্রায় সব ধরনের আর্থিক লেনদেনে ব্যাঘাত ঘটছে। এতে করে বঞ্চিত হচ্ছে সেবা প্রাপ্তরা। পাশাপাশি চলতি মাস শেষে বেতন ভাতাদি পাওয়া নিয়ে ব্যাপক দুশ্চিন্তায় পড়েছেন উপজেলা পরিষদের ১৬ দফতরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। কারণ তাদের বেতন-ভাতা ছাড়াও বিভিন্ন দান-অনুদানসহ সব আর্থিক লেনদেন পরিচালিত হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যানের যৌথ স্বাক্ষরে।

উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের সকল আর্থিক লেনদেন এবং প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদনের ক্ষেত্রে যৌথ স্বাক্ষরের আইন বিদ্যমান। কোনো কারণে চেয়ারম্যান না থাকলে ভাইস চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান না থাকলে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর লাগে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের আত্মগোপন বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি বলে জানিয়ে এর বেশি কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে উপজেলা পরিষদের একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী উপজেলার সার্বিক কাজকর্ম বিশেষ করে আর্থিক লেনদেনে অচলাবস্থার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

লিমন বাসার/এসএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।