বর্তমানে জামায়াতে কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই : অলি আহমদ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:০৬ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২০

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন ও এর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে বিতর্ক তুলেছেন বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ।

বুধবার (২৯ জুলাই) দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহউদ্দিন রাজ্জাক এ তথ্য জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন।

‘ঐক্যফ্রন্ট-বিএনপি-জামায়াত ও ২০ দলীয় জোট নিয়ে বোমা ফাটালেন কর্নেল অলি’ শিরোনামে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপি, জামায়াত ও ২০ দলীয় জোট নিয়ে বোমা ফাটালেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় মুক্তিমঞ্চের আহ্বায়ক ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। দ্য গ্রিন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অলি আহমদ এমন অনেক বিষয় তুলে ধরেছেন যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাতে পারে।’

‘সাক্ষাৎকারে অলি আহমদ বলেছেন, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে যে জোট গঠন করা হয়েছিল সেটা ছিল মূলত বিএনপিকে নির্বাচনে নেয়ার জন্য। তাদের মিশন ছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটকে চিরতরে ক্ষমতার বাইরে রাখা। এর সাথে যুক্ত ছিলেন কিছু ‘মেও মেও’ করা বিএনপি নেতা।’

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘অলি আহমদ বলেন, আমাকে যখন ঐক্যফ্রন্টে থাকার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল তখন আমি সরাসরি না করে দিয়েছিলাম। কারণ ড. কামাল হোসেন একজন নাম করা আইনজীবী। তার সাথে আইন পেশা মানায়, রাজনীতি নয়। ড. কামাল হোসেন যেখানে সভা-সমাবেশ করেছেন, সেখানে জয় বাংলা বলে শুরু করেছেন, জয় বঙ্গবন্ধু বলে শেষ করেছেন। একটিবারও তিনি জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার নাম মুখে উচ্চারণ করেননি। এই ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল মূলত বিএনপির সাথে প্রতারণা করার জন্য।’

‘জামায়াত প্রসঙ্গে অলি আহমদ বলেন, বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীতে কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই। এখন যারা নেতৃত্বে আছেন তারা স্বাধীনতাবিরোধী নন, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। জামায়াতের শীর্ষ নেতারা যখন জীবিত ছিলেন, তখন বিএনপি জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করেনি। হঠাৎ করে বিএনপি কেন জামায়াতকে ছেড়ে দিচ্ছে তা আমার বোধগম্য নয়।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সাক্ষাৎকারে অলি আহমদ ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে যাদের দাওয়াত দেয়া হয় তাদের যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও কথা বলেন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পরে তিনি ২০ দলের কোনো সভায় যাননি এবং শেষের কয়েকটি সভায় এলডিপির কোনো প্রতিনিধি পাঠাননি বলেও জানান।’

কেএইচ/এইচএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।