‘সাহেদ-সাবরিনাদের অপকর্মের দায় সরকার এড়াতে পারে না’
বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও ব্যর্থতার জন্য এবং সাহেদ-সাবরিনা-মিঠু গংদের অপকর্মের দায় বর্তমান সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ডিজি ও সচিবদের উপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষর ও ভুয়া রিপোর্ট ইত্যাদি সমস্ত প্রক্রিয়াই আকুণ্ঠ দুর্নীতিতে ভরা। তাছাড়া শুরু থেকেই করোনা মোকাবেলায় সরকারের ব্যর্থতা, সমন্বয়হীনতা, বাগাড়ম্বরের কারণে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল রূপ ধারণ করেছে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক সংবাদপত্রে দেওয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতি আরও বলা হয়, এখন ব্যর্থতা, লুটপাট, দুর্নীতির দায় মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর একে অপরের উপর চাপাতে চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু এই দায় কোনো ক্রমেই মন্ত্রী, সচিব, ডিজিসহ সংশ্লিষ্ট কেউই এড়াতে পারে না। এমনকি যার নির্দেশ ছাড়া কোন কিছুই হয় না, সেই প্রধানমন্ত্রীও এড়াতে পারে না।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, রিজেন্ট গ্রুপের সাহেদ, জেকেজি গ্রুপের সাবরিনা যেমন ভুয়া করোনা টেস্ট রিপোর্ট দিয়ে দুর্নীতি করেছে, তেমনি এই সরকারও দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করে ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে গায়ের জোরে ক্ষমতায় বসে আছে। ফলে ভোট ডাকাত সরকারের মন্ত্রী, আমলা, দলের নেতাকর্মী সবাই আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্থ হবে এটাই স্বাভাবিক। এদের দ্বারা স্বাস্থ্যখাতসহ অন্যন্য খাতের দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব নয়, যতই জিরো টলারেন্স বলে চিৎকার করুক।
এফএইচএস/এনএফ/এমএস