সরকারি হাসপাতালগুলো নরকে পরিণত হয়েছে: রিজভী
সরকারি হাসপাতালগুলো নরকে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে এমনভাবে বিল ওঠানো হয় যে মানুষ বেঁচে থাকলেও মরার মতো অবস্থা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, 'একটা পাপুলকে কুয়েতে গ্রেফতার করা হয়েছে, আরও কত পাপুল যে তৈরি হয়েছে সেটা বলা মুশকিল। দুঃশাসনের মধ্যেই এগুলো তৈরি হবে, পাপুলরা এমপি হবে। তাদের পক্ষে রাস্তা থাকবে। অর্থাৎ এক ভয়ঙ্কর মরণব্যাধি বেষ্টনীর মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ বাস করছে। এই বেষ্টনী ভাঙতে হবে।
রিজভী বলেন, যে সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করে না, সে সরকার তার সবকিছু করতে পারে, যত দুর্নীতি অবিচার আছে, সবকিছু করতে পারে। এই সাহেদ সাবরিনা কোথায় ছিল? তারা একত্ববাদী একদলীয় শাসনব্যবস্থা সরকারের অধীনে লালিত পালিত হয়েছে।
তিনি বলেন, 'স্কুল কলেজ হাসপাতাল সমাজসেবার প্রতিটি সেক্টর ধ্বংস করেছে সরকার। কারণ এখানেও কিন্তু মেগা প্রজেক্ট হয়েছে, এখান থেকে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের পকেট ভারি হয়। তাই তারা মেগা প্রজেক্ট সোনার হরিণের মতো আগলে রাখে। আজ হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ নেই, মাস্ক নেই, তারা নকল মাস্ক নিয়ে এসেছে। ভেন্টিলেটর বর্তমানে জীবন বাঁচানোর একটি মাধ্যম, সেটিও নেই। আর এইসব দুর্নীতির সাথে মন্ত্রী নেতাকর্মী এমনকি মন্ত্রীর ছেলেরাও জড়িত। তাই মানুষ মরছে রাস্তায়, অ্যাম্বুলেন্সে মানুষ মরছে।
রিজভী বলেন, 'আজ টিউশন ফি বাতিলের দাবি উঠেছে। এমনিতেই ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারছে না, তার উপরে টিউশন ফি পুরোপুরি দিতে হবে, তার জন্য অভিভাবকরা টিউশন ফি বাতিলের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু সেদিকে সরকার কর্ণপাত করছেন না। আর যদি মেগা প্রজেক্ট তাড়াতাড়ি করার দাবি উঠতো তাহলে তারা খুব দ্রুত কর্ণপাত করতো। কারণ এখানে তাদের নেতাকর্মীদের পকেট ভারী হয়। একটা মেগা প্রজেক্টের ফলে প্রতিবছর ১০ থেকে ১৫ গুণ অর্থ বেড়ে যায়, কারণ এই টাকাগুলো তাদের নেতাকর্মীদের পকেটে যায়। আর এই কারণে মেগা প্রজেক্টের প্রতি তাদের এত গুরুত্ব।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে এবং মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, তাঁতী দলের যুগ্ম-আহ্বয়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, স্বেচ্ছাসেবক দল উত্তরের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/এনএফ/পিআর