মীর কাসেমের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রায়ত্ব কারার দাবি


প্রকাশিত: ০২:১১ পিএম, ০২ নভেম্বর ২০১৪

বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী শুধু একজন স্বাধীনতাবিরোধী নয়, মৌলবাদী বিভ্রান্তসৃষ্টিকারী দল জামায়াতের অর্থযোগানদাতা। অবিলম্বে তার সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রায়ত্ব করতে হবে।

রোববার বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বসর মাইজভাণ্ডারী এমপি ও মহাসচিব এম এ আউয়াল এমপি এক যুক্ত বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

পাশাপাশি তরিকতের এই দুই নেতা অারও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধীদের চতুর্থ প্লাটফরম হচ্ছে মুহাম্মদ উল্লাহ হাফেজ্জি হুজুর প্রতিষ্ঠিত খেলাফত আন্দোলন। এই দলের বয়োজ্যেষ্ঠ অনেকে শান্তি কমিটির সদস্য অথবা রাজাকার হলেও সরকার তাদের ব্যাপারে উদাসিন।

এই দুই নেতা আহবান জানান, এসব বিষয় জাতিকে জানতে হবে, জানাতে হবে। খেলাফত আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাজাকারদের গ্রেফতার করতে হবে সরকারকে। তাদেরকেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মীর কাসেম অালীকে ফাঁসির আদেশ দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। এজন্য তরিকতের পক্ষ থেকে অভিনন্দন।

তারা বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে প্রমাণিত হয়েছে মীর কাসেম জামায়াতের সব অর্থযোগানদাতার দায়িত্ব পালন করেন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারভণ্ডুলে তিনিই সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন। ফলে ফাঁসিই তার একমাত্র দণ্ড।

সৈয়দ নজিবুল বসর মাইজভান্ডারী ও এম এ আউয়াল আরও বলেন, সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে যথেষ্ট আন্তরিক। তবে এই আন্তরিকতা বিশ্বাসযোগ্য হবে যদি তাদের রায়গুলো বাস্তবায়ন করা হয়। বাংলাদেশের মানুষ এই স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচার দেখতে চায়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।