করোনাকালে ঘুড়িতে কৈশোরের স্বাদ রুমার
দেশে করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে অনেকেই রাজধানী ছেড়ে গেছেন নিজ নিজ জেলায়। এর ব্যতিক্রম হয়নি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমার ক্ষেত্রেও। সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চলে যান নিজ জেলা পাবনায়। দুর্যোগময় এ পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন ত্রাণ তৎপরতাসহ অন্যান্য মানবিক ও সামাজিক কাজে যুক্ত আছেন, অন্যদিকে করোনাকালে তার বিকেল কাটছে কৈশোরের ভেলায় ঘুড়ি উড়িয়ে।
কৈশোরে ঘুড়ি ওড়ানোর সুখস্মৃতি নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বিশেষ করে গ্রাম বা মফস্বল শহরে যারা বেড়ে উঠেছেন, ঘুড়ির সঙ্গে তাদের পরিচিতিটা অন্যরকমের। তবে এখন স্মার্ট ফোন সহজলভ্য হওয়ার পর আকাশে তেমন দেখা মেলে না ঘুড়ির।
‘আমাদের যুগে আমরা যখন আকাশের তলে উড়িয়েছি শুধু ঘুড়ি, তোমরা এখন কলের লাঙল চালাও গগনজুড়ি’- কবি সুফিয়া কামালের লেখা ‘আজিকার শিশু’ কবিতার এই দুই লাইন মনে করিয়ে দেয়, কৈশোরের ঘুড়ি উড়ানোর সেই আনন্দময় স্মৃতির কথা।
আরিফা সুলতানা রুমা জাগো নিউজকে জানান, সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর ঢাকা থেকে নিজ জেলা পাবনাতে এসেছি, পরিবারের অন্য সদস্যরাও এসেছে। ভয়বহ এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে ঘরবন্দি জীবনযাপন করছেন। আমার পরিবারের সদস্যরাও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে যেহেতু রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে উঠেছি, নিজেও রাজনীতির সাথে যুক্ত, তাই সমাজ নিয়ে চিন্তা করতে হয়, মানুষকে নিয়ে ভাবতে হয়। এই মহামারিতে সাধ্যমতো চেষ্টা করছি আশপাশের মানুষকে যতটা সম্ভব সাহায্য-সহযোগিতা করার। এর বাইরে সন্তানকে সময় দিচ্ছি।
করোনার আগে বাচ্চাকে এতটা সময় দিতে পারিনি। আবার আইনের শিক্ষার্থী হিসেবে অনলাইনে নিয়মিত ক্লাস করতে হচ্ছে। এসবের পাশাপাশি করোনার বিকেল কাটছে কৈশোরের ভেলায়। ছোট বেলা সমবয়সীরা মাঠে, ছাদে অনেককেই ঘুড়ি ওড়াতে দেখতাম কিন্তু আমার কখনও ঘুড়ি ওড়ানোর সুযোগ হয়নি। এই করোনার বিকেলে ঘুড়ি উড়িয়ে সেই কৈশোরের অতৃপ্তি দূর করছি।
তিনি জানান, ঘুড়ি উড়াতে বিকেলে বাসার ছাদে উঠে যাই। সন্ধ্যানাগাদ পর্যন্ত ঘুড়ি উড়াই। আকাশ ছুঁয়ে যায় আমার ঘুড়ি। আমার দৃষ্টিও তখন চলে যায় ওই দূর আকাশে। আবার লাটাই দিয়ে নিচে নামিয়ে আনি। এভাবেই সময় পার করছি।
কেএইচ/এমএআর/এমএস