রামকৃষ্ণ মিশনে পূজারীদের ঢল


প্রকাশিত: ০৯:৩২ এএম, ২২ অক্টোবর ২০১৫

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার নবমী ও দশমী আজ। পঞ্জিকার তিথির কারণে গতবছরের মতো এবারো নবমী ও দশমী একই দিনে পড়েছে। সে হিসেবে প্রতিমা বিসর্জন হবে আগামীকাল শুক্রবার। বৃহস্পতিবার সকালে শারদীয় দুর্গোৎসবের ঢাকার গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে মহানবমী কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজার আয়োজন করা হয়। সকাল থেকে পূজার শেষ দিন সব বয়সী হিন্দুধর্মাবলম্বীদের ঢল নামে পূজা মণ্ডপে।

এ বছর নবমী ও দশমী তিথি একই দিনে থাকায় শাস্ত্রীয় বিধান মেনে পূজার সব আনুষ্ঠানিকতা আজ শেষ হয়ে যাবে। পূজা উদযাপন পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে সারা দেশে প্রতিমা বিসর্জন হবে আগামীকাল শুক্রবার সন্ধ্যায়। ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের সহ-সম্পাদক এবং পূজার তন্দ্রধারক স্থিরাত্মানন্দ মহারাজও (নিরঞ্জন মহারাজ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে মহানবমীতে মাকে বিদায়ের আয়োজনে বিষন্ন মন নিয়েই উৎসবে মেতেছেন ভক্তরা। সকাল থেকে চলে চণ্ডীপাঠ আর ভক্তদের কীর্তনবন্দনা। অনুষ্ঠিত হয় দেবীর মহানবমী বিহিত পূজা। শাস্ত্রে আছে, রাবণ বধের পর শ্রীরামচন্দ নবমী তিথিতে এই পূজা করেছিলেন। নীলকণ্ঠ ফুল আর যজ্ঞের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় নবমী বিহিত পূজা। নবমী পূজার মাধ্যমে মানবকুলে সম্পদ লাভ হয়। শাস্ত্র অনুযায়ী, শাপলা, শালুক ও বলিদানের মাধ্যমে নবমীতে দশভুজা দেবীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

পূজা শুরুর পর ভক্তরা প্রার্থনা করতে থাকেন দেবীর উদ্দেশে। নীল অপরাজিতা ফুল নবমী পূজার বিশেষ অনুষঙ্গ। নবমী পূজার দিন যজ্ঞের মাধ্যমে দেবী দুর্গার কাছে আহুতি দেয়া হয়। ১০৮টি বেল পাতা, আম কাঠ, ঘি দিয়ে এই যজ্ঞ করা হয়। পূজা শেষে অঞ্জলি ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়ে দেখা গেছে, সব বয়সী নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধা নতুন জামা কাপড় পড়ে বিভিন্ন সাজে সেজে এসেছে পূজা দিতে। দুর্গা মার আর্শীবাদ নিতে এসেছেন বললেন তারা।

এমনি একজন ৮৫ বছর বয়সী গীতা রানী চক্রবর্তী এসেছেন রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশনের পূজার মন্ডপে। তার অনুবতির কথা জানতে চাইলে জাগোনিউজকে জানান, প্রতি বছরই দুর্গাউৎসবে মার কিপায় এখানে আসি। আজ পূজা শেষ হবে। তবে মা আরো একদিন থাকলে ভালো হত।   

এসআই/জেডএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।