খালেদা চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রে লিপ্ত নন : রিপন


প্রকাশিত: ০৮:৩৭ এএম, ১৬ অক্টোবর ২০১৫
ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণে বিদেশে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত নন বলে জানিয়েছেন দলটির মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন। শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিপন বলেন, সবাই জানেন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণে বিদেশে চিকিৎসাধীন আছেন। সেখানে তিনি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত নেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামে খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অসত্য ও অপ-আলাপ ছাড়া আর কিছুই নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর (খালেদা জিয়া) সম্পর্কে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর এমন অশালীন কথাবার্তা হিংসা ও হানাহানির রাজনীতিকে উসকে দিবে।

রিপন আরো বলেন, রাজনীতিতে হিংসা, হানাহানি মানুষ পছন্দ করে না। এ জন্য মানুষের রাজনীতির প্রতি অনীহা তৈরি হয়। এমন বক্তব্য ভবিষ্যত প্রজন্মকে রাজনীতিতে আসতে নিরুৎসাহিত করে।

বিএনপি গণতান্ত্রিক পন্থায় রাজনীতি করে দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি করে না। এর সঙ্গে বিএনপি কখনো জড়িত ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না। বরং বিগত আন্দোলনের সময় সরকার ও তাদের দলের লোকেরা জ্বালাও পোড়াও করেছে। তাদের অনেকে বোমা ও নাশকতার সরঞ্জামসহ আটক হয়েছে। যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।

১৯৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য বিএনপি সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি -দাসিয়ারছড়ায় শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিপন বলেন, এই বক্তব্য সত্যের অপলাপ। চুক্তিটি ছিল দ্বিপাক্ষিক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আগেই তা বাস্তবায়ন করেছিল। দুঃখজনক বিষয় ভারত তা কখনোই বাস্তবায়ন করেনি। দীর্ঘদিন পরে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে আইন পাশ করে এটা বাস্তবায়ন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন, তকদির হোসেন জসিম প্রমুখ।

এমএম/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।