কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে বোরো ধান কাটায় সহায়তা করুন
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেছেন, বোরো ধান কাটা-মাড়া শুরু হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কৃষি শ্রমিকরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারছেন না। এমতাবস্থায় ধান কাটায় কৃষকেরা চরম সংকটে পড়েছে। বিশেষ করে হাওর অঞ্চলে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে যেসব কৃষি শ্রমিক মৌসুমে ধান কাটতে যেত তারা যেতে পারছে না।
সোমবার (২০ এপ্রিল) গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে খালেকুজ্জামান বলেন, একদিকে শ্রমিক সংকট অন্যদিকে সরকার ধান কাটার জন্য হার্ভেস্টার ও রিপার মেশিনও চাহিদা মতো সরবরাহ করতে পারছে না। চাহিদা যেখানে ৩৫০০ মেশিনের সেখানে কৃষি মন্ত্রণালয় মাত্র ১২০০ মেশিন প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে এবং আরও ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন সেটা পেলে আরও ১২০০ মেশিন দিতে পারবে। যে ১০০ কোটি টাকার এখনও হয়নি, নানা ফর্মালিটি শেষে অর্থ ছাড় হতে বোরো ধান কাটার মৌসুম শেষ হয়ে যাবে। পাহাড়ী ঢলে হাওরের ধান তলিয়ে যেতে পারে। এতে দেশে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। এমনিতে বিশ্বব্যাপী করোনা সংকটের কারণে বিশ্বে খাদ্য সংকট দেখা দেয়ার আশঙ্কা করছে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বোরা ধান থেকে আমাদের ৬০-৭০ শতাংশ খাদ্য শস্য আসে। ফলে বোরো ধান ঘরে তুলতে না পারলে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা মারাত্মক হুঁমকিতে পড়বে।
খালেকুজ্জামান বোরো ধান কাটতে সহায়তার জন্য সারাদেশের দলীয় নেতা কর্মীদের এবং ছাত্র যুব সমাজকে কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে সরকারের প্রতি দাবি জানান, অবিলম্বে হার্ভেস্টার মেশিন সরবরাহ ও কৃষি শ্রমিকদের নির্বিঘ্নে, সুরক্ষা নিশ্চিত করে বোরো ধান কাটার জন্য প্রশাসনিকভাবে হাওরাঞ্চলসহ ধান কাটার এলাকায় যাতায়তের ব্যবস্থা করতে।
এইউএ/এএইচ/এমএস