আজান ও ইক্বামাতের জবাবের ফজিলত
আজানের মাধ্যমে মানুষকে নামাজের জন্য আহবান করা হয়। মানুষ যখন মসজিদে এসে একত্রিত হয়, তখন নির্ধারিত সময়ে জামাআতে নামাজ আদায়ের জন্য মুয়াজ্জিন ইক্বামত দেন। আজান এবং ইক্বামাত শুনলেই এর জবাব দিতে হয়। এ জবাবে রয়েছে অনেক ফজিলত। জাগো নিউজে তা তুলে ধরা হলো-
আজান ও ইক্বামাতের জবাবে ফজিলত
হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘মুয়াজ্জিন বলবে, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার তখন তোমাদের কেউ যদি বলে আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার; এরপর যখন মুয়াজ্জিন বলে আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (শ্রবণকারী) বলে আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ; এরপর যখন মুয়াজ্জিন বলে আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুলল্লাহ্ (শ্রবণকারী) বলে আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুলল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), পরে মুয়াজ্জিন যখন বলে হাইয়্যা আলাস্ সালাহ্ (শ্রবণকারী) বলে লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ,পরে মুয়াজ্জিন যখন বলে হাইয়্যা আলাল ফালাহ, (শ্রবণকারী) বলে লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ; এরপর মুয়াজ্জিন যখন বলে আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার (শ্রবণকারী) বলে আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, পরে মুয়াজ্জিন যখন বলে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (শ্রবণকারী) তখন বলে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ -এ বাক্যগুলো (আজানের উত্তর) যদি অন্তর থেকে বলে তবে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (মুসলিম, আবু দাউদ)
হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, হজরত বেলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু ইকামত দিচ্ছিলেন। যখন তিনি ক্বাদ ক্বামাতিস্ সালাহ বললেন, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আকামাহাল্লাহু ওয়া আদামাহ অর্থাৎ আল্লাহ তা প্রতিষ্ঠিত রাখুন এবং তা চিরস্থায়ী করুন। (আবু দাউদ) বর্ণনাকারী আরো বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইকামাতের অন্যান্য শব্দের বেলায় (হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত) আজানের হাদিসের অনুরূপ বলেছেন।
সর্বোপরি কথা হচ্ছে- আজান ও ইক্বামাতের জবাবের মনস্তাত্বিক লাভ হচ্ছে, মানুষ যখন এর জবাব দেন তখন, শয়তান অন্তর থেকে দূর হয়ে যায়। বিনা অসওয়াসায় মানুষ নামাজের দিকে ধাবিত হতে পারে এবং একনিষ্ঠতার সহিত নামাজ আদায় করতে পারে। মানুষ যতক্ষণ নামাজে ও মসজিদে থাকে, অন্তত ততক্ষণ যাবতীয় খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে। এর ধারা অব্যাহত থাকলে সমাজের নানবিধ খারাপ কাজ কমে আসবে। শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।
পরিশেষে...
হাদিসদ্বয় থেকে প্রমাণিত যে, আজানের ন্যায় ইক্বামাতেরও জবাব দিতে হবে। আর যে ব্যক্তি আজান ও ইক্বামাতের জবাব দিবেন। আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাত দান করবেন। আল্লাহ আমাদেরকে আজান ও ইক্বামাতের জাবাব দেয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : [email protected]
জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।
এমএমএস/এমএস