অবরোধকারীরা দেশকে অস্থিতিশীল করছে : বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, যারা ৯২ দিন হরতাল অবরোধ করে দেশকে অস্থিতিশীল করেছিল, এখন তারাই ফের বিদেশি নাগরিকদের হত্যার পরিকল্পনা করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে। রোববার সকালে ভোলায় মন্ত্রীর বাসভবন চত্বরে জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির গঠন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, তাদের কোনো চক্রান্তই সফল হবে না। বিশ্বের এগিয়ে যাওয়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের এ অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতেই একের পর এক ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে বিএনপি নেত্রী।
দেশে এখন কঠিন ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্র অতীতেও ছিল এখনো আছে। এর জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তথাকথিত আন্দোলন-সংগ্রাম করে আওয়ামী লীগের অগ্রযাত্রাকে কোনোমতেই বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। যারা দুই বিদেশিকে হত্যা করে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদাহানীর চেষ্টা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, তথাকথিত আন্দোলনের নামে অনেক মায়ের কোল খালি করে বিএনপি-জামায়াত যেমন সফল হয়নি, খালেদা জিয়া যেভাবে আত্মসমর্পণ করে ঘরে ফিরে গেছেন, আগামীতেও তারা আন্দোলন-সংগ্রাম করে সফল হবেন না। মন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির আগে ৯০ দিনের মধ্যে যে কোনো দিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। তার আগে নির্বাচন হওয়ার কোনই সম্ভাবনা নেই।
ভোলার উন্নয়ন নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে ভোলার সব রাস্তা পাকা করা হবে। নদী ভাঙন ভোলার বড় সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতেৃত্বে ভোলাকে নদী ভাঙনের হাত থেকেও রক্ষা করা হবে। খুব শিগগিরই ইউপি ও পৌরসভার নির্বাচন হবে উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ারও নির্দেশ দেন। আগামীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও ইংগিত দেন।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহি কমিটির সদস্য ও ভোলা সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ইউনুসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপস্থিত থাকার পাশপাশি আরো বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশারেফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, পৌর মেয়র ও জেলা যুব লীগের আহ্বায়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ নেতা মইনুল হোসেন বিপ্লব, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ শাহিন প্রমুখ।
পরে দলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে আবু মো. সায়েমকে আহ্বায়ক, আবিদুল আলম ও মুজাহিদুল ইসলাম তুহিনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৫০ সদস্যবিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠিত হয়।
অমিতাভ অপু/এমজেড/আরআইপি