টেকনিক্যাল কারণে ভোট দিতে প্রবলেম হয়েছে : মহিউদ্দিন
‘টেকনিক্যাল কারণে ভোট দিতে প্রবলেম হয়েছে। আমি অনেকক্ষণ থাকায় অন্য ভোটারদের ঢুকতে প্রবলেম হচ্ছে দেখে নিজেই চলে যাচ্ছি। টেকনোলজিতে এমন সমস্যা হয়। গত ঢাকা সিটি নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ক্ষেত্রেও এমনটি হয়েছিল।’
শনিবার (২১ মার্চ) ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে কলাবাগানের লেক সার্কাস গার্লস স্কুলে সকাল ১০টা থেকে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত চেষ্টা করেও ভোট দিতে না পেরে চলে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক একটি সমস্যা নিয়ে আমরা নির্বাচন করছি। এবারের নির্বাচনে আমরা বড় কোনো সভা করিনি। আমাদের পাঁচটি সভা করার অনুমতি ছিল। মানুষের কল্যাণের কথা বিবেচনায় রেখে আমরা সভা করিনি। প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটাইজার দেয়া হয়েছে। আমাদের পরিস্থিতি এখনও ওই লেভেলে যায়নি।’
ভোটারদের উদ্দেশে কী বলবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনা আতঙ্কের মধ্যেই অনেকে কাজ করেছেন। সাবধানতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। ঠিকমতো সুরক্ষা মেনটেইন করলে ভোটারদের উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে। যথেষ্ট পরিমাণে সর্তকতা অবলম্বন করেই ভোট দেবে ভোটাররা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনও জুমার নামাজ বন্ধ করা হয়নি। কিন্তু সৌদি আরবে মসজিদে বন্ধ করা হয়েছে। আমরা এখনো মসজিদে নামাজ পড়ছি। যখন বিশ্বে এটি বাড়ছে, তখন আমাদের দেশেও বাড়ছে। তাই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে আমরাও শাটডাউনে যাব। এটি নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপর। সকলকে সচেতনতার সঙ্গে ঘর থেকে বের হতে হবে। কেউ ঘর থেকে বের হবে কিনা, ভোট দিবে কিনা, এটা একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। প্রত্যেকে সচেতনভাবে নিজের হাইজিন মেনটেইন করে ঠিকমতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। আবার বাসায় গিয়ে ঠিকমতো বিশ্রাম নিতে পারে। আমাদের লেভেল এখন পর্যন্ত ওরকমভাবে পৌঁছেনি যে আমি বাসায় বসে থাকব আর খাবার বাসায় এসে যাবে।
তিনি বলেন, আমি আশা করব ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার সন্তোষজনকভাবে প্রয়োগ করবে। ভোটারদের জন্য আমরা স্যানিটেশন ও হ্যান্ডবিল বিতরণ করেছি। সরকার ও দলের পক্ষ থেকেও এগুলো বিতরণ করা হয়েছে, এখনো বিতরণ চলছে। কোনো কিছুতেই যেন প্যানিক সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও সতর্ক থাকতে হবে। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসা শুরু করছে এবং তারা ভোট দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যেয়ে ভোট চেয়েছেন। প্রার্থীদের একটি কাজ হলো ভোট চাওয়া। ভোট না চেয়ে অভিযোগ করলে কোনো ফল হয় না। অভিযোগ করলাম, আর আন্দোলনের অংশ হিসেবে ভোটে অংশগ্রহণ করলাম। তাহলে তো বিজয়ী হওয়া যায় না। বিজয়ী হওয়ার জন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে। মানুষের মন জয় করতে হবে।
টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে তিনি নিজের ভোট দিতে পারেননি উল্লেখ করে বলেন, টেকনিক্যাল সমস্যা থাকতে পারে। ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে যেমন সুবিধা আছে, তেমনি কিছু সমস্যা আছে। টেকনিশিয়ান যারা আছেন সবাই তো একই। এরা মাত্র দুই দিনের ট্রেনিং নিয়েছেন। তাই আমি বলেছি, পরে ভোট দেব। এবারের নির্বাচন একটি ভিন্ন মাত্রায়, বৈশ্বিক একটি সমস্যা নিয়েই আমরা নির্বাচন করছি।
তিনি বলেন, গতবার সিটি করপোরেশনে আমি ভোট দিয়েছি এক মিনিটও সময় লাগেনি, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোট দিয়েছেন এক মিনিটও সময় লাগেনি। আর নির্বাচন হবে কি হবে না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক আমি প্রার্থী নিজে নই। বিশ্বের অনেক হাই সিভিয়ারিতেও নির্বাচন হচ্ছে। আমরা যে তার থেকে আলাদা, বিষয়টি এমন নয়। বিশ্বের অনেক দেশে নির্বাচন হচ্ছে, আবার কোনো কোনো দেশে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে, এই করোনাভাইরাসের কারণে।
এফএইচএস/এমএফ/এমএস