শেখ হাসিনা জোয়ার দেখেছেন, এবার ভাটা দেখবেন : গয়েশ্বর


প্রকাশিত: ১২:৫৬ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০১৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় যাওয়ার জোয়ার দেখেছেন কিন্তু ভাটা দেখেননি। তাকে ভাটাও দেখানো হবে।

রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সমবায় দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

সমবায় দলের ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী শীর্ষক আলোচনা সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, হাসিনা নিজেও জানেন না তিনি কত সময় ক্ষমতায় থাকবেন। তাই সব সময় ২০১৯ সালের কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিন। জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন তারা কাদেরকে নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। আর আপনার যদি ন্যূনতম লজ্জাবোধ থাকে তাহলে জনগণের কথা আর মুখ দিয়ে উচ্চারণ করবেন না।

‘২০১৯ সালের আগে কোনো নির্বাচন নয়’ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আপনি নিজেই যানেন না কতদিন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকবে। তাই আমাদের ২০১৯, ২০২০ ও ২০২৫ সাল দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না।

‘রাস্তার বেহাল দশার মত বিএনপি অবস্থা’ যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় গয়েশ্বর বলেন, রাস্তার বেহাল দশা কি না তা বলতে পারবো না। তবে বর্তমান ক্ষমতাসীনরা বাংলাদেশ ও গণতন্ত্রের আজ বেহাল দশা করেছে।

ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, আপনিতো অফিস করেন না। কিন্তু কতিপয় কিছু গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের নিয়ে প্রতিদিন ছবি তোলেন এবং কথা বলেন। যা দেশে ও জাতীয় কোনো উপকার হয় না। তাই ডায়লগ বন্ধ করে পদত্যাগ করুন। আর জনগণকে বলুন সরি, আমি পারিনি।

সমবায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারাদেশে যদি সমবায় গড়ে উঠতো তাহলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার আজ এই অবস্থা হত না। দেশে কোনো বেকারত্ব এবং চাকরির জন্য কাউকে বিদেশেও যেতে হত না।   

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ নূর আফরোজ জ্যোতির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন প্রমুখ।

এমএম/একে/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।