বিদ্রোহীদের প্রচারণায় আ.লীগ নেতারা, সাবধান করলেন নাছির
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় মহানগর আওয়ামী লীগের অনেক নেতারা অংশ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
এ সময় তিনি যেসব নেতা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে বিদ্রোহীদের পক্ষ নিচ্ছেন তাদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো এবং কঠিন ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিলে’ তিনি একথা বলেন।
আ জ ম নাছির বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড চসিক নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছেন। যারা এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রার্থী হয়েছেন তারা মূলত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করছেন।’
তিনি বলেন, ‘কাউন্সিলর পদে কাউকে সরাসরি মনোনয়ন দেয়ার সুযোগ নেই কিন্তু দলের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের সমর্থন দেয়া হয়েছে। যে মনোনয়ন বোর্ড মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিমকে মেয়র মনোনয়ন দিয়েছে, একই মনোনয়ন বোর্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছে। তাই সব ধরনের সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে দলীয় প্রার্থীদের জন্য কাজ করতে হবে, বিধিবিধানগুলো মানতে হবে।’
নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ এ নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা খেয়াল করেছি দলীয় পদে থেকেও অনেকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এটা দলের সরাসরি বিরোধিতার মত। বিভিন্ন জায়গায় ইতোমধ্যেই সংঘাত সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে আমাদের মেয়রপ্রার্থী সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছি।’
আ জ ম নাছির হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘তিনি দলের সদস্য হোক, যুগ্ম সম্পাদক বা সহ-সম্পাদক হোক অথবা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হোক। তাদের কাছে সুস্পষ্টভাবে একটি ম্যাসেজ পৌঁছে দিতে চাই। বিদ্রোহীদের সঙ্গে মিলে যারা কাজ করছেন তাদের সরে আসতে হবে। আমরা সবার বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখছি। এটা ২৯ তারিখ পর্যন্ত, ৩০ তারিখ সব স্পষ্ট হয়ে যাবে কার ভূমিকা কী ছিল। এরপরে আমরা এসব নেতাদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠাবো। মনে রাখতে হবে রাজনীতি এক দিনের নয়,আপনাদের আগামীতেও রাজনীতি করতে হবে।’
আ জ ম নাছির উদ্দীনের এই বক্তব্য চলাকালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, নঈম উদ্দিন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চুসহ নগর আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, সহ-সম্পাদক, সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, চসিক নির্বাচনে ৫৫টি ওয়ার্ডে (সংরক্ষিতসহ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের ১৬২ নেতাকর্মী। যাদের মধ্যে ১০৭ জনই বিদ্রোহী প্রার্থী। দফায় দফায় হুঁশিয়ারির পরেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেনি। ইতোমধ্যে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থকদের সঙ্গে বেশ কয়েক দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা।
আবু আজাদ/জেএইচ/এমকেএইচ