পতাকা উত্তোলন দিবসে আমন্ত্রণ করা হয়নি উত্তোলক রবকেই

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫০ পিএম, ০২ মার্চ ২০২০
সভায় বক্তব্য রাখছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ মার্চ জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে যে কর্মসূচি পালিত হয়েছে, সেখানে প্রথম পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রবকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। এজন্য ওই অনুষ্ঠান বর্জন করায় ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (২ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মান্না এ কথা জানান।

১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানিদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা ওড়ানো হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বটতলায়। সেখানে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে ডাকসুর তৎকালীন ভিপি আ স ম আবদুর রব সর্বপ্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

রব এখন সরকারবিরোধী আন্দোলনের সরবমুখ এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) প্রধান।

মান্না বলেন, ডাকসুর ভিপি নুর আজ একটি সাহসী কাজ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ মার্চ পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে তা তিনি বর্জন করেছেন। কারণ এই অনুষ্ঠানে আ স ম আবদুর রবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সেখানে যারা বক্তৃতা করেছেন, তারা কেউ আ স ম আবদুর রবের নাম উল্লেখ করেননি। এমনকি ২ মার্চের সেই সমাবেশের কথাও বলেননি। সেই ইতিহাসের কথা বলেননি। সেখানে কেবল এক ব্যক্তির প্রশংসা করা হয়েছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্না বলেন, যেখানে স্বাধীনতা নেই, গণতন্ত্র নেই, ভোটের অধিকার নেই, মানুষ ভোট দিতে যায় না, সেখানে মুজিববর্ষ পালন করা হচ্ছে। মুজিববর্ষে আ স ম রব নেই, কাদের সিদ্দিকী নেই, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী নেই, মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একচ্ছত্র নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নেই। সেখানে শুধু তাদের (ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র) মোদিকে দরকার। এটি কি মুজিববর্ষ না মোদিবর্ষ? তারা এই অনুষ্ঠানে মোদিকে প্রধান বক্তা করেছেন। কারণ তারা মনে করছেন, মোদি ছাড়া তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। আমি আজকে বলে দিচ্ছি, এই মোদিকে দিয়েও আপনারা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।

সরকারের সমালোচনা করে মান্না বলেন, বেগম জিয়ার মতো একজন বড় নেত্রী, যিনি তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, তাকে নির্যাতন করে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে আমি শুধু বলতে চাই, আমাদের স্বাধীনতার আন্দোলন থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। সেই ইতিহাস থেকে মানুষকে আন্দোলনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এখানে আসার সময়ই তিন-চারজন আমাকে জিজ্ঞেস করছে, ওইখানে সমাবেশে যাচ্ছেন? আন্দোলনের কথা বলবেন, কর্মসূচি দেবেন। আমার বিশ্বাস এখানে মঞ্চে যারা আছেন, প্রত্যেককে এ প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। আমি আমার কথায় মানুষকে নিরুৎসাহিত করতে পারি না।

মান্না বলেন, ঐক্য সম্পর্কে আমার বক্তব্য একটাই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেন, ঐক্য রাজপথে সৃষ্টি হয়ে যাবে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ।

কেএইচ/এইচএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।