সেই পাপিয়াকে যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কার
অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় র্যাবের হাতে আটক নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়াকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। সমাজসেবার আড়ালে অসহায় সুন্দরী তরুণীদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কাজ ও অস্ত্র-মাদকসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে তাকে আটক করে র্যাব।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাজমা আকতার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারাদেশ দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ২২ (ক) উপধারা অনুযায়ী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে আজীবন বহিষ্কার করা হলো।
এর আগে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব-১।
অন্য আটকরা হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, নগদ দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়।
তাকে আটকের পর শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব। সেখানে র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল জানান, বৈধ আয় অনুযায়ী পাপিয়ার বার্ষিক আয় মাত্র ১৯ লাখ টাকা। অথচ রাজধানীর অভিজাত একটি হোটেলে (ওয়েস্টিন) শুধু গত তিন মাসে তিনি বিল পরিশোধ করেছেন প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। নারী-সংক্রান্ত অপকর্ম ছাড়াও অস্ত্র-মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন তদবির বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত পাপিয়া।
এছাড়া নরসিংদী এলাকায় চাঁদাবাজির জন্য তার একটি ক্যাডার বাহিনী রয়েছে। স্বামীর সহযোগিতায় অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি নরসিংদী ও ঢাকায় একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়িসহ বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হয়েছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন ধরনের তদবির বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত বলেও জানায় র্যাব।
এদিকে শামীমা নূর পাপিয়া ও সুমন দম্পতির ফার্মগেটের বাসা থেকে জব্দ করা হয়েছে বিদেশি অস্ত্র-গুলি ও ম্যাগজিন। শুধু তাই নয়, জব্দ করা হয়েছে বিদেশি মদ ও বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ।
এফআর/এমকেএইচ