জঙ্গিবাদ দমনে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই : ফখরুল


প্রকাশিত: ০৯:০৯ এএম, ০৮ অক্টোবর ২০১৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জঙ্গিবাদ দমনে সারাবিশ্ব ঐক্যবদ্ধ। এ বিষয়ে অপরাজনীতি করতে দেয়া যায় না। জঙ্গিবাদ দমনে আমাদেরকেও জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানী নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। একইসঙ্গে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী ও আলেম-ওলামাদের সঙ্গে রাখার কথাও বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখনও জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল। বিএনপি তখন দেশের বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী ও আলেম-ওলামাদের নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলেছিল। সেখানে আলেম-ওলামারাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

কিভাবে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা যেতে পারে- এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকেই এর দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ তারা সরকার পরিচালনা করছে। তাই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে সরকারকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হলে আলেম-ওলামেদের বাইয়ে রাখা যাবে না।

দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের এক পক্ষের সঙ্গে অন্য পক্ষের কথা কোন মিল নেই। এভাবে চলতে থাকলে দেশে উগ্রপন্থিদের উত্থান ঘটতে পারে। কারণ তারা জঙ্গিবাদ নিয়ে অপরাজনীতি করছে।

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এই বিষয়ে অপরাজনীতি করতে দেয়া যায় না। এই বিষয়ে সারাবিশ্ব ঐক্যবদ্ধ। তাই জঙ্গিবাদ দমনে আমাদেরকেও জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলতে হবে। এছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।

বিএনপির এ নেতা বলেন, বর্তমান দেশে গণতন্ত্রকে সংকুচিত করে রাজনীতি চলছে। এভাবে চলতে পারে না। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আর এ জন্য অবশ্যই সংলাপ ও আলোচনা মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনিবার্য।

বিদেশি হত্যার সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াত জড়িত- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্য প্রতিক্রিয়ার ফখরুল বলেন, আগেও বলেছি, এখনও বলছি এই হত্যার সঙ্গে বিএনপি জড়িত নয়।

আমরা আর সহিংতার রাজনীতি চাই- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের এই বক্তব্যে পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি তার বক্তব্যেকে সমর্থন করেছে। তিনি যদি সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ করেন তাহলে প্রমান হবে তিনি সত্যিই হানাহানির রাজনীতি চান না।

সরকারের কাছে আপনাদের চাওয়া কী -এমন প্রশ্নে মির্জা আলমগীর বলেন, রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠে দুই বিদেশি হত্যার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে, যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেফতারের মাধ্যম বিচারের আওতায় আনতে হবে, বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, বেগম জিয়ার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসা শেষ হলেই তিনি দেশে ফিরবেন।

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমএম/আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।