আওয়ামী লীগ-স্বাধীনতাবিরোধীদের মধ্যে পার্থক্য কী
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় আমাদের কর্মীরা যখন ’৭১ সালের স্লোগান দিচ্ছিল ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর বাংলাদেশ স্বাধীন কর’ তখন তারা (আওয়ামী লীগ) কর্মীদের শারীরিক নির্যাতন করেছে, মারধর করেছে। আমি প্রশ্ন করতে চাই, স্বাধীনতাবিরোধী আর স্লোগানধারীদের আঘাত করা -এই দুটির মধ্যে পার্থক্য কতটুকু?
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী এ নেতা এসব কথা বলেন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’র প্রতিবাদে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
জেএসডি সভাপতি বলেন, যে চুরি করে তাকে বলে চোর, যে ডাকাতি করে তাকে বলে ডাকাত। গ্রামে যখন চোর পড়ে তখন গ্রামের মানুষ কী করে? মানুষ ঘেরাও করে চোর ধরে, ডাকাত ধরে। তারা বাংলাদেশের ভোট চুরি করেছে। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ডাকাতদের ধরতে হবে। ভোট ডাকাতি করা রাষ্ট্রদ্রোহিতা।
তিনি বলেন, এখানে অনেক আইনজীবী আছেন তাদের বলব, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এখন পর্যন্ত একটাও মামলা হয়নি। জনগণের ভোট ডাকাতি করা সংবিধানবিরোধী কাজ। যারা ডাকাতি করেছে তাদের সবাই চেনেন। তাদের চিহ্নিত করেন, রাস্তাঘাটে পথে-প্রান্তরে বলেন, এই চোর যায়, ডাকাত যায়। বলবেন, চোর চোর, ডাকাত ডাকাত, ধর ধর।
আব্দুর রব বলেন, শহর থেকে গ্রামে কোথাও চোরদের বড় গলায় কথা বলার সুযোগ নেই। মাথা তুলে কথা বলার অধিকার নেই। সরকার রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাজ করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে, লাখ লাখ শহীদের সঙ্গে, মা-বোনের সম্ভ্রমের সঙ্গে বেইমানি করেছে। আমরা যেখানে যাই, জনগণ বলে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করেন। ভোট ডাকাত, ভোট চোরদের বাংলাদেশের মাটি থেকে বিদায় করতে হবে। জনগণের সরকার কায়েম করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাঈদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসআই/কেএইচ/আরএস/জেআইএম