পদক পাওয়ার যোগ্যতা প্রধানমন্ত্রীর নেই : খন্দকার মাহবুব


প্রকাশিত: ০৬:৫৬ এএম, ০২ অক্টোবর ২০১৫

জাতিসংঘ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চ্যাম্পিয়ান অব দ্য আর্থ পুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, পদক পাওয়ার যোগ্যতা প্রধানমন্ত্রীর নেই।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘ভাবমূর্তির সংকটে বাংলাদেশ, উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনার নৈতিক দায়িত্ব হলো নিজের কাছে প্রশ্ন করা যে আপনি পদকের যোগ্য কি না?’ কারণ আপনি একজন অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী।

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জনগণ আজ আতঙ্কগ্রস্ত। জনগণকে এই সন্ত্রাসী সরকারের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য সাধারণ জনগণের উপর যে নির্যাতন করছে তা সরকার স্বীকার না করলেও সার বিশ্বে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। পাশাপাশি দেশে নাগরিক নিরাপত্তা না থাকায় বিদেশিরা এ দেশে আসতে ভয় পাচ্ছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে বক্তব্য দিয়ে লাভ হবে না। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামতে হবে এবং সবাইকে ২০ দলীয় জোটের সুরে কথা বলতে হবে।

বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, আমাদের সবাইকে সরকারের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠে কথা বলতে হবে। আর সেই সংগঠন যে নামেই হোক আমাদের কোন আপত্তি নেই।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতার পর যারা দেশ শাসন করেছিল তারাই প্রথম দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা শুরু করেছিল। আর বর্তমান সরকার স্বাধীনতার চেতনাকে ধর্ষণ করেছে।’

বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলাম রিপন, ঢাকা মহানগরী বিএনপি নেতা মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি সভাপতি সাহিদুর রহমান তামান্না প্রমুখ।

আএসএস/এসকেডি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।