রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা ছড়িয়েছে, সম্পর্কের সেতু চাইলেন কাদের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:১৯ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯

আমাদের রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতা ছড়িয়ে পড়েছে। সম্পর্কে উঁচু উঁচু দেয়াল তৈরি হয়েছে। সেগুলো ভেঙে সেতু তৈরি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ঢাকা ইউনিভার্সিটি পলিটিক্যাল সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (ডুপডা) কর্তৃক আয়োজিত বার্ষিক সাধারণ সভা, পুনর্মিলনী ও গুণীজন সম্মাননা-২০১৯ এ এমন মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ডুপডার সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফেরদৌস হোসেন, ডুপডার সেক্রেটারি কে এম মুজিবুর রহমান, সরকারের সাবেক সচিব মাহমুদুল হাসান প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাবেক এবং বর্তমান সদস্যরা।

কাদের বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে আমার চেয়েও মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু ভাগ্য এবং কাজকে ভালোবাসি বলে আজ এতদূর এসেছি। অনেক সমস্যা পাড়ি দিয়েছি। যে আকাশে মেঘ নেই সেটা আকাশ নয়। যে প্রকৃতিতে দুর্যোগ নেই সেটা প্রকৃতি নয়। আমি প্রতিকূল স্রোতে সাঁতার কাটতে ভালোবাসি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের চোর আখ্যায়িত করেছিল বিশ্বব্যাংক। তারপরও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মত বিশাল কাজ করে দেখিয়েছেন বাংলাদেশকে। অনেক উন্নয়নের পরেও রাজনীতিতে ভিন্ন মত আছে, থাকবে। আমরা ক্ষমতায় চিরদিন থাকব না। এই বীরের দেশে বিশ্বাসঘাতকতাও আছে। তবুও বলব আমাদের মত উন্নয়ন কেউ করতে পারবে না। সম্পর্কের সেতুগুলোতে ফাটল ধরেছে। আমাদের রাজনীতিতে, পরিবারে ও সমাজে আরও সেতু দরকার।

অধ্যাপক ড. ফেরদৌস হোসেন বলেন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে না পারলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা যাবে না। আমরা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনেক কাজকর্ম করেছি, করছি। আমাদের বিশ্বাস সবক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান, ডুপডার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম খাইরুল আলমসহ কয়েকজনকে সম্মাননা দেয়া হয়।

জেএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।