চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী- চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন আবু সুফিয়ান নিজেই।
আজ মঙ্গলবার (১০ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পার্লামেন্টারি কমিটির সাক্ষাৎকার গ্রহণের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে এই নির্বাচনে আমরা অংশ নিচ্ছি। চট্টগ্রাম-৮ আসনে তিন প্রার্থী মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তারা সবাই দক্ষিণ জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতা। পার্লামেন্টারি পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০১৮ সালে নির্বাচনে যিনি মনোনয়ন পেয়েছিলেন, সেই আবু সুফিয়ানকেই প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।”
‘‘আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলবো, এই নির্বাচন অন্তত যদি তারা সুষ্ঠুভাবে করতে পারে তাহলে জনগণের কিছুটা আস্থা নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর ফিরে আসতে পারে।”
আবু সফিয়ান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক। একাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছিলেন আবু সুফিয়ান। তবে নবম সংসদ নির্বাচনে এই আসনে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন এম মোরশেদ খান, যিনি সম্প্রতি বিএনপি ছেড়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনজনের সাক্ষাৎকার নেয় মনোনয়ন বোর্ড। পার্লামেন্টারি কমিটিতে ছিলেন বিএনপি মহাসচিবসহ খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
উপ-নির্বাচনে মনোনয়নের জন্য প্রার্থী ছিলেন আবু সুফিয়ানসহ দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক মোশতাক আহমেদ খান ও মহানগরের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ উল্লাহ।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান একাদশ সংসদ নির্বাচনেও এ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। সে নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী মইনউদ্দীন খান বাদলের কাছে তিনি পরাজিত হন। মইনউদ্দীন খান বাদল পেয়েছিলে ২ লাখ ৭২ হাজার ৮৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ধানের শীষের আবু সুফিয়ান পেয়েছিলেন ৫৯ হাজার ১৩৫ ভোট।
এর আগে ৭ নভেম্বর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে আগামী ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে উপনির্বাচন।
এনএফ/এমকেএইচ/জেআইএম