মিনায় পদদলিত : নীরব ছিলেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী


প্রকাশিত: ০৯:২০ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ফাইল ছবি

ভয়ঙ্কর আর তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন হাজিরা। গত দুই দিনে বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্সের ৫টি ফ্লাইটে প্রায় দেড় হাজার হাজি দেশে ফিরেছেন।

এ বছর মক্কায় ক্রেন দুর্ঘটনা এবং মিনা ট্রাজেডি হাজিদের মন দুর্বল করে দিয়েছে। সোমবার বিমানের প্রথম ফিরতি হজ ফ্লাইটে আসা হাজিরা এসব কথা বলেন। তারা মর্মান্তিক এ দুটি দুর্ঘটনার জন্যে সৌদি সরকারের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন।

সোমবার রাতে বিমানের প্রথম ফিরতি হজ ফ্লাইট বিজি-৬০১২ চড়ে আসেন চারশ ১৯ হাজি। এদের একজন বগুড়ার মারুফুর রহমান। সেদিন মিনার প্রান্তরে কী ঘটেছিল। কী ছিলো ঘটনার নেপথ্যে। এতগুলো প্রাণ বিয়োগের জন্যে মুলত দায়ী কে। হজের মতো এত বড় অনুষ্ঠান চলাকালে সৌদির  ভুমিকা কী ছিলো। এসব বিষয়ে হাজি মারুফুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার খুব কাছে ছিলাম আমরা কয়েকজন। সময়টা ছিল ২৪ সেপ্টম্বর সকাল সাড়ে সাতটা কি আটটা। আমরা চলছিলাম মুজদালিফা হয়ে মিনারের উদ্দেশ্যে। তিন রাস্তার মিলনস্থল (এরমধ্যে একটি রাস্তা ব্যবহার করা হয় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের জন্য অপরটি পাথর নিক্ষেপ শেষে আসার জন্য)।  হঠাৎ শুরু হলো ভিড়ের চাপ। ভিড়ের চাপে উত্তপ্ত মরু প্রান্তরে অনেকেই পানি পানি বলে চিৎকার করে হার মানে মৃত্যুর কাছে।  

তিনি বলেন, ঘটনার সময় নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তাদের সামনে পিপাসায় হাজিরা কাতরালেও উদ্ধার অভিযানে নামেনি পুলিশ।

হাজি মারুফ বলেন, চাপে যখন দম বন্ধ হয়ে হাজিরা মারা যাচ্ছেন, ঠিক তখনই শুরু হয়  নাইজেরিয়ানদের অমানবিক ম্যারাথন। আহত বয়স্ক মানুষগুলোর উপর দিয়ে ছুটছে সবাই।

এরই মধ্যে ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়ে অন্তত চার হাজার হাজির মৃত্যু ঘটেছে। যদিও সৌদি সরকার দায় এড়াতে প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করছে না।

একই ফ্লাইটে আসা ঢাকার আশুলিয়ার হাজি লিয়াকত আলী জানান, ওইদিন মিনার প্রান্তরে সৌদি প্রিন্স তার ব্যক্তিগত সহস্রাধিক নিরাপত্তা কর্মীর বলয় তৈরি করে এসেছিলেন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে। মিনার এক চতুর্থাংশ জায়গায় হাজিদের চাপিয়ে প্রিন্সকে দেয়া হয় প্রটোকল।

আরএম/এসআইএস/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।