খালেদার আম ও ছালা দুটোই যাবে : মায়া


প্রকাশিত: ০৮:০৬ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম) বলেছেন, আগামী ২০১৯ সালের পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অংশগ্রহণ না করলে আমও যাবে ছালাও যাবে। রোববার মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মতলবগঞ্জ জে.বি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

মায়া বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী দলে যোগদান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের দাবিদার হয়েছেন। বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন দেখে মতলবের মতো সারা দেশে বিভিন্ন দল থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করছেন কর্মীরা। যার অনুভূতি বিএনপির তৃণমূল নেতৃবৃন্দরা পাচ্ছেন। কারণ, গত নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া অংশগ্রহণ না করে গাড়ি ও মানুষ পুড়িয়েছেন। মাঠে আসুন, নির্বাচন করুন, দেখেন জনগণ কাকে ভোট দেয়।

তিনি আরো বলেন, মতলব উত্তর ও দক্ষিণে আগামী ২০১৬ সালের মধ্যে প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়া হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে যেভাবে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন এ ধারায় চলতে থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে পরিণত হবে।

জনসভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। এ দলের আদর্শ রয়েছে, শৃঙ্খলা রয়েছে। যারা দলে যোগদান করেছেন, তারা দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলবেন। আগামীতে পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আসছে, এ নির্বাচনে প্রার্থী অনেক হতে পারে। দল যাকে মনোনয়ন দেবে সেই প্রার্থী হবে। তবে সে প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত হতে হবে।

এ জনসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এএইচএম গিয়াস উদ্দিন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএইচএম কবির আহমেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেনের যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রীর ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দীপু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. মো. শামছুল হক ভূইয়া এমপি, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল। বক্তব্য রাখেন, মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির প্রধান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শাহআলম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন লিটন, নারায়নপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মবিন সুজন প্রমুখ।

আলোচনা সভার পূর্বে জাতীয় পার্টি ও ছাত্রদল থেকে প্রায় ৫শতাধিক নেতা কর্মী মন্ত্রীর হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। জনসভাস্থলে যোগদানের পূর্বে মন্ত্রী মতলবগঞ্জ জে.বি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের চার তলা বিশিষ্ট নতুন ভবনের ফলক উম্মোচন করেন।

ইকরাম চৌধুরী/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।