সরকারের নির্দেশেই ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিতাদেশ : রিজভী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:২২ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলে আদালত যে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন সেটাকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

তিনি বলেন, কোনো বিচার বিশ্লেষণ ও যুক্তিতর্ক ছাড়া ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিতের আদেশ দেয়া গভীর চক্রান্তমূলক। সরকারের কারসাজিতেই এহেন আদেশ প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমান উল্লাহর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে কাউন্সিল স্থগিতাদেশ সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক। কারণ আমান উল্লাহ আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য কাউন্সিলে প্রতিযোগী ছিলেন না এবং প্রতিযোগিতার জন্য আবেদন করেননি কিংবা তিনি কাউন্সিলরও নন। কোনো বিচার বিশ্লেষণ ও যুক্তিতর্ক ছাড়া তার করা মামলার প্রেক্ষিতে ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিতের আদেশ দেয়া গভীর চক্রান্তমূলক। সরকারের কারসাজিতেই এহেন আদেশ প্রদান করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যখন কাউন্সিলের স্থগিতাদেশ আদেশ আনা হলো তখনই একটি বিশেষ চ্যানেলের ক্যামেরাও এসেছে, এ থেকে বোঝা যায় এটা একটা গভীর চক্রান্ত।’

রিজভী বলেন, ‘আমরা বারবার গণবিরোধী ভোটারবিহীন সরকারের গণতন্ত্র হত্যা কার্যক্রমের বিষয়ে জনগণকে অবহিত করেছি। আওয়ামী সরকারের হাত ধরেই এদেশে বারবার গণতন্ত্রকে সমাধিস্থ করা হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেশান্তরিত করা হয়েছে। এক ভয়ংকর একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের হিংস্র থাবায় রাষ্ট্র-সমাজ থেকে গণতন্ত্রের শেষ নিশানাটুকু মুছে ফেলা হয়েছে। গণতন্ত্রের অবধারিত শর্ত মত ও চিন্তার স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণরূপে হরণ করা হয়েছে। সুতরাং এই মধ্যরাতের নির্বাচনের সরকার কোনো প্রতিষ্ঠানেরই গণতান্ত্রিক চর্চাকে সহ্য করতে পারছে না। এরই বর্ধিত প্রকাশ ঘটলো ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কাউন্সিলের ওপর আদালতকে দিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারির মাধ্যমে। সুষ্ঠু, সুন্দর ও গণতান্ত্রিক পন্থায় ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচন নস্যাৎ করতেই সরকারের নির্দেশে এই আদেশ।’

রিজভী আরও বলেন, ‘এটি আওয়ামী সরকারের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির আরেকটি অধ্যায় হয়ে থাকবে। এবার রাখঢাক করে নয়, বরং প্রকাশ্যেই আওয়ামী সরকার আদালতকে দিয়ে তাদের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির চরিত্রটি আবারও উন্মোচিত করল। এরা যে গণতন্ত্রের শত্রুপক্ষ সেটি এই ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো। ছাত্রদলের কাউন্সিল বন্ধ করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিএনপি।’

আগামী শনিবার কাউন্সিল হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘এ বিষয়ে সিনিয়র নেতারা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।’ এর বেশি তিনি আর প্রশ্ন না করতে সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে খায়রুল কবীর খোকন, ফজলুল হক মিলন, আজিজুল বারী হেলাল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশীদ হাবিব, রাজিব আহমেদ, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারাী, কাজী মোক্তার হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।