সরকারের প্রধান দুটি মিত্র মিয়ানমারের পক্ষে : ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য সরকার কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। কেন? কারণ তাদের যে দুটি প্রধান মিত্র ভারত এবং চীন মিয়ানমারের পক্ষে।
তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম পশ্চিমারা বোধহয় সরকারের সঙ্গে কিছুটা আছে। দেখি তারাও সে রকম আর নেই। এমনকি জাপানও তাদের (মিয়ানমারে) পক্ষে। তাহলে এই দুই বছর কী করলেন আপনারা (সরকার)? কোথায় গেলেন? একবারও কি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীন, ভারতে গেছেন বা জাতিসংঘে গিয়ে কোনো রকম চেষ্টা করেছেন? আমরা সেটা দেখিনি।
বুধবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তারেক রহমানের ১২তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনায় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম।
মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের উদ্যোগহীনতার কারণে, চেষ্টার অভাবে এই পরিণতি হয়েছে। আরও বিপদ আসছে, চোখ বন্ধ করে থাকলে তো চলবে না। চতুর্দিক থেকে বিপদ আসছে।
ফখরুল বলেন, আসামে যে এনআরসি তৈরি হয়েছে, আমরা জানি না এটার মধ্যে কী আছে না আছে। কিন্তু আমরা এটুকু বুঝি যে একটা বিপদ জানান দিচ্ছে। সুতরাং অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষকে সজাগ হতে হবে। বাংলাদেশের মানুষকেই তার স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। এটা কেউ আমাদের করে দিয়ে যাবে না।
আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আজ আমরা তারেক রহমানের মুক্তির দিনে সভা করছি। আসলে তারেক রহমান কি মুক্তি পেয়েছে? পায়নি। আমরা কেউই মুক্তি পাইনি। আজ আমাদের মা জেলে, আমরাও জেলে আছি। এখান থেকে শপথ নিতে হবে মাকে জেল থেকে বের করতে রাজপথে রক্ত দিতে হবে।
ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি নাজমুল হাসানের সঞ্চালনায় এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।
কেএইচ/বিএ