দেশে বাকশাল নয় গণতন্ত্র থাকবে : দুদু

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫২ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে কৃষক দলের আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, যদি আপনার বুকে জোর থাকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে আপনি বাকশাল নিয়ে আসেন, আমরা গণতন্ত্র নিয়ে আসি দেখি কত ধানে কত চাল।

তিনি বলেন, আজকে বাকশালের গুণগান গাওয়া হচ্ছে। এই বাকশালের কারণেই পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সৃষ্টি, এই কথা আপনারাও মাঝে মাঝে বলেন কিন্তু আপনি প্রধানমন্ত্রী এটা স্বীকার করেন না। এই দেশ স্বাধীন হয়েছে বাকশালের জন্য নয়। বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য। এই দেশে বাকশাল নয় গণতন্ত্র থাকবে।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনজীবী আন্দোলন উদ্যোগে গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তাকে কারাগারে আটকে রাখা মানে দেশের গণতন্ত্রকে বন্দি করে রাখা। কিন্তু এই দেশে যদি কোনো সফল ব্যক্তিকে সামনে আনা হয়, সেই ব্যক্তিটি হলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তারপরই বেগম খালেদা জিয়া। অথচ অন্যায়ভাবে তাকে (খালেদা) আটকে রেখেছে এই অবৈধ সরকার।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া হলেন একজন আপসহীন নেত্রী। তিনি এই দেশে জন্মগ্রহণ করেছেন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। আজ দেশে যাই হোক, যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বেগম খালেদা জিয়া স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতীক তাকে আটকে রাখা যাবে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, যদি আপনাদের সুবুদ্ধি থাকে তাহলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন। আর যদি তিনি এমনি বের হয়ে আসেন তারপরে যা কিছু হবে তা আমলে নেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আপনি বলেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান খুনের রাজনীতি শুরু করেছে। তাহলে জাসদ যে দাবি করে, ৭২-৭৫ সাল পর্যন্ত আপনার পিতার আমলে তাদের ৩০ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এটা কোন আমলে কে করেছে? এদেশের বিপ্লবী পার্টি সর্বহারা দলের সভাপতি সিরাজ সিকদারকে কে হত্যা করেছে? প্রধানমন্ত্রী আপনাকে আমি বলব একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখেন কোন আমলে এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল মানুষ মরে রাস্তায় পড়ে থাকত? কোন আমলে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য একটি বিশেষ বাহিনী তার নাম রক্ষীবাহিনী তৈরি করা হয়েছিল?

সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবেদ রেজা, কৃষক দলের সদস্য লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবির প্রমুখ।

কেএইচ/জেএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।