দেশের সব ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে : দুদু
চামড়া শিল্প বিপর্যয়ের পর প্রশ্ন দেখা দিয়েছে দেশে সরকার আছে কি না এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বয়ক শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী আছে কি নেই? সরকার আছে কি নেই? এটা একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার থাকলে তো চামড়া শিল্পের এমন বিপর্যয় হতো না? সরকার থাকলে তো ডেঙ্গুতে এত মানুষের মৃত্যু হতো না? সরকার থাকলে তো ব্যাংকের টাকা এভাবে চুরি হওয়ার কথা নয়। সরকার প্রধান থাকলে নিশ্চয়ই একটি তদারকির ব্যবস্থা করতেন। অর্থাৎ সব ব্যবস্থা একদম ভেঙে পড়েছে।’
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টারের (এনআরসির) আয়োজনে 'আমার দেশ আমার শিল্প' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
দুদু বলেন, '১৯৭১ সালে যে দেশ রক্ত দিয়ে স্বাধীন হয়েছে সেই দেশ, সেই জাতি আজকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। দেশে আইন-শৃঙ্খলা বলতে এখন আর কিছু নেই। দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর মানুষ এখন আস্থাহীন। স্বাস্থ্যখাত বিলুপ্তির পথে। সর্বশেষ চামড়া শিল্প মহাবিপর্যয়ের সম্মুখীন। এতটা বিপর্যয় বাংলাদেশ এর আগে কখনো দেখা যায়নি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের এতিম অসহায় শিশুরা। এ শিল্প বিপর্যয়ের কারণে পার্শ্ববর্তী দেশ রমরমা ব্যবসা করেছে। এগুলো বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।
সরকারের বিরুদ্ধে নিজেদের কার্যকর আন্দোলন গড়ে না তোলার ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, ‘আমাদের ব্যর্থতা আছে। এ সরকারের বিরুদ্ধে কার্যকর বিরোধিতা গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে যে আন্দোলনটা গড়ে তোলা প্রয়োজন ছিল সেটি হয়তো আমরা গড়ে তুলতে পারিনি। তবে এ কথা বলতে পারি এ দেশে কখনো কোনো জালিম সরকার দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। এ সরকারও হবে না।’
বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের কথা উল্লেখ করে দুদু বলেন, 'বেগম খালেদা জিয়া একজন আন্দোলনের নেত্রী। তিনি আজ মিথ্যা মামলায় প্রায় পৌনে দুই বছর কারাবন্দি রয়েছেন। তাকে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে আটক রাখা হয়েছে।’
নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘অনুনয় বিনয় করে বর্তমানে দেশের যে সংকট চলছে এ থেকে কোনোভাবেই মুক্তি পাওয়া যাবে না। কার্যকর আন্দোলন আমাদেরকে অতীতের মতো গড়ে তুলতে হবে। ছাত্র শ্রমিক মেহনতী মানুষদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ এ জাতি মুক্তিযুদ্ধের জাতি, এ জাতি মওলানা ভাসানীর জাতি, শহীদ জিয়াউর রহমানের জাতি, এ জাতি যখন জেগে ওঠে রাজপথে নেমে আসবে মুক্তি সেদিনই হবে।
আয়োজক সংগঠনের পরিচালক বাবুল তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সদস্য ডি এম আমিরুল ইসলাম অমরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/এএইচ/পিআর