বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় চীন-আরব
চীন এবং আরবের কিছু দেশ জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
সোমবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নৌ-মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, জাতির পিতা সারাবিশ্বের মানবতাবাদী ও শোষিতের পক্ষের নেতা ছিলেন। তার নেতৃত্বগুণে বাংলাদেশ থেকে মিত্র বাহিনীর সৈন্যরাও চলে যায়। কোনো যুদ্ধ নয়; ইরাকের হুমকির মুখে সৌদি আরবে মার্কিন সৈন্যরা আসে। কিন্তু এখনও সেখান থেকে মার্কিন সৈন্য যায়নি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেই শেষ করেননি। তার সময়েই ১১৬টি রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। চীন ও আরবের কিছু দেশ জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল জিয়াউর রহমান তাদের মন্ত্রী বানিয়েছিল। এই জিয়াউর রহমান জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনীদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে তার রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে।
জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, জাতির পিতা ক্ষমতার চেয়ে জনসেবা এবং জনগণের পক্ষে আন্দোলনকে ভালোবেসেছেন। একাত্তরে প্রমাণ হয়েছে জাতির পিতা চাইলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন; কিন্তু তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেয়েছেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা সংবিধানের চার মূলমন্ত্রের মধ্যে সমাজতন্ত্রকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। তিনি সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে চেয়েছিলেন। ঠিক ওই সময়ই ঘাতকরা জাতির জনককে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণা আমাদের মাঝে আছে। তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে অনেক দূর এগিয়ে এনেছেন। বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হবে। কারণ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর কাছে অসীম ঋণে আবদ্ধ।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নৌ-মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সামাদ প্রমুখ।
এইউএ/এমএআর/এমকেএইচ