সরকার দেশকে রাজনীতি শূন্য করার চক্রান্ত করছে : ফখরুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:১০ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৯
ফাইল ছবি

সরকার বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে রাজনীতি শূন্য করে দেওয়ার চক্রান্ত শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, তাদের মূল উদ্দেশ্য দেশে একটি দল থাকবে, আর কোনো দল থাকবে না।

শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির শতাধিক নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে গাজীপুর পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. আব্দুল করিমসহ তার অনুসারীরা বিএনপিতে যোগদান করেন। বিএনপি মহাসচিব তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

ফখরুল বলেন, 'যখন বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের কর্মকাণ্ডের রাজনীতি করা কঠিন হয়ে পড়েছে, যখন ২৬ লাখ মানুষকে আসামি করা হয়েছে, এক লাখের উপরে মামলা করা হয়েছে, যখন এই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে, সেই সময় করিমের মতো একজন জনপ্রিয় নেতা বিএনপিতে যোগ দেওয়া নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এই সময়ে তার বিএনপিতে যোগ দেওয়াটা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। আমরা সঠিক পথে আছি, আমাদের রাজনীতি সঠিক পথে আছে।'

তিনি বলেন, সংগঠনের বিকল্প নেই। সংগঠন থাকলে আন্দোলন, নির্বাচনে সফল হতে পারবো। এই কথা সবাইকে মনে রাখতে হবে।'

এই সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশেকে রাজনীতি শূন্য করে দিচ্ছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'সরকার বিরাজনীতিকরণ করছে। যেন বাংলাদেশের মানুষ রাজনীতি না করতে পারে, রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতি না করতে পারে এজন্য একে একে সংবিধানে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। সেই পরিবর্তন করে সরকার বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে রাজনীতি শূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত তারা শুরু করেছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এই দেশে এক দল থাকবে, আর কোনো দল থাকবে না। আগে তারা বাকশাল করেছিল এখন তারা আবার একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়।'

গাজীপুর মহানগর বিএনপি'র সভাপতি হাসান উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গাজীপুর মহানগর বিএনপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/এসএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।