জঙ্গিবাদের মতো ডেঙ্গুকেও পরাজিত করব : নানক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫৩ পিএম, ০৩ আগস্ট ২০১৯
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘আমরা যেভাবে জঙ্গিবাদকে মোকাবিলা করেছি, সেভাবে জনগণের সহযোগিতায় এ মরণব্যাধি ডেঙ্গুকেও পরাজিত করব।’

শনিবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) সদর দফতর এবং ঢাকা কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে আইইবির সেমিনার কক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার, আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলো একযোগে কাজ করছে জানিয়ে দলটির এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ডেঙ্গুতে ফিলিপাইনে লক্ষাদিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। পাঁচ শতাধিক মানুষ সেখানে মারা গেছে। চীনের মতো দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। যখন ডেঙ্গুর কথা আসে তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে নাকি জরুরি অবস্থা জারি করতে হবে। কী কারণে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করতে হবে? বাংলাদেশের মানুষ এখন সচেতন। বাংলাদেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সব সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে ডেঙ্গু মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি মুহূর্তে লন্ডন থেকে খবর রাখছেন; নিদের্শনা দিচ্ছেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ চালিয়ে যাব। যেভাবে আমরা জঙ্গিবাদকে মোকাবিলা করেছি, জনগণের সহযোগিতায় এ মরণব্যাধি ডেঙ্গুকেও আমারা পরাজিত করব।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যায় জড়িত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক যড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করে তাদের বিচারের দাবি জানান নানক।

তিনি বলেন, ‘আগস্ট মাস এলেই শুধু শোকাবহ নয়, আমরা বাঙালি জাতি আতঙ্কিত হই। এ আগস্ট মাস এলেই মনে পড়ে ৭৫ এর ১৫ আগস্টের কথা। আগস্ট মাস এলেই মনে পড়ে খালেদা-নিজামীদের চার দলীয় জোট ক্ষমতার আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেট হামলার কথা। তারা জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে আবার ক্ষমতা দখল করে এ দেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত, অপারেশনে যারা জড়িত তাদের বিচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছে। এবারের ১৫ আগস্টে আমাদের উদাত্ত আহ্বান থাকবে জাতীয়-আন্তর্জাতিক যড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

নানক আরও বলেন, ‘যড়যন্ত্র হচ্ছে, যড়যন্ত্র চলছে। আজকে যখন বাংলাদেশে পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়ে চলেছে তখন অপপ্রচার চালায় মানুষের কাল্লা লাগবে। মা যখন তার সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করাতে যান তখন গণপিটুনিতে লাশ হয়ে ফিরতে হয়। কাজেই এ ষড়যন্ত্রকে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। যদি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে না পারি তাহলে আমাদের সঙ্গে যে দুই বিষধর সাপ (বিএনপি-জামায়াত) চলছে তারা সুযোগ পেলেই ছোবল দেবে। এ বিষধর সাপ দুটি আমাদের গণজাগরণ দেখলেই গর্তে ঢুকে যায়। এ বিষধর সাপদের সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে। বিএনপি-জামায়াতকে রাজনৈতিক মাঠ থেকে নিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের সম্মানিত সম্পাদক প্রকৌশলী শাহাৎ হোসেন শিবলুর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন আইইবির প্রেসিডেন্ট এবং আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- আইইবির সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী নুরুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, আইইবির সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী নুরুল হুদা প্রমুখ।

এইউএ/এনডিএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।